চট্টগ্রামে বিএনপি’র রোডমার্চে অংশ নেওয়া বাবার ছবি দেখে ক্ষোভে বিষপান করা রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা নীরব ইমনকে (২২) দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ইমনের পাশে কিছু সময় কাটান তথ্যমন্ত্রী। এসময় তিনি অসুস্থ ছাত্রলীগ নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা ও চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য ছাত্রলীগ নেতার বাবা মোহাম্মদ জহিরের হাতে আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট এলাকার নিজ বসতঘরে বিষপান করেন নীরব ইমন। তিনি পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাবা জহির ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি। ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহির (৪৫) চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন, এরকম একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইমনের মেসেঞ্জারে পাঠান তার বন্ধুরা। বিএনপির রোডমার্চে তার বাবার অংশ নেয়াকে মেনে নিতে পারেননি ইমন। ক্ষুুব্ধ ইমন বাড়িতে ছুটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগারাগি করেন এবং এক পর্যায়ে বিষপান করে বসেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
অসুস্থ ইমন শুক্রবার চমেক হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানুষ রাজনীতি করে দেশের উন্নয়নের জন্য, আমার বাবা অনেকদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, কিন্তু তার দল রাঙ্গুনিয়ায় কোন উন্নয়ন করেনি। রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের নেতা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন, হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকুরি হয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, আমার বাবাকে অনেকবার নিষেধ করেছি তিনি শোনেননি। বাবা অন্য দলের রাজনীতি করবে আর বন্ধুরা সেটা আমাকে দেখিয়ে দিবে সেটা মেনে নিতে পারিনি। এ সময় তার বাবা মোহাম্মিদ জহিরও পাশে উপস্থিত ছিলেন।’
চমেক হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার বলেন, বিষপানে অসুস্থ ইমনকে ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। প্রথমে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন খারাপ অবস্থায় ছিল। তাকে ওয়াশ করা হয়েছে। এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আশা করি সে দ্রুতই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবে।