‘ও রেই’ (রাজা) কফিনে শুয়ে এসেছেন প্রিয় ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। যেখানে ফুটবল খেলে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী, সেই চিরচেনা আঙিনায় তার শেষ বিদায়! তাই তো পেলেকে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগে ভাসছেন ব্রাজিলের মানুষ।
আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে সোমবার খুব ভোরে পেলের কফিন আনা হয় সান্তোসের এ স্টেডিয়ামে।
সোমবার সকাল ১০টায় স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। ২৪ ঘণ্টা শ্রদ্ধা জানানো শেষে মঙ্গলবার সকালে এখান থেকেই শুরু হবে পেলের শেষযাত্রা। তার চাওয়া অনুযায়ী আজ স্টেডিয়ামের পাশেই নেকরোপল একিউমেনিকাতে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পেলে।
সমুদ্রতীরে অবস্থিত সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়াম, যা ‘আরবানো ক্যালডেরিয়া’ স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত, সেই মাঠের মাঝখানে পেলের কফিন নিয়ে যান ছেলে এডিনহোর নেতৃত্বে আত্মীয়স্বজন। এর পরই সারিবদ্ধভাবে ফুটবলের রাজাকে শেষ বিদায় জানানো শুরু করেন হাজারও ব্রাজিলিয়ান।
দীর্ঘদিন কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে গত বৃহস্পতিবার মৃত্যুবরণ করেন ৮১ বছর বয়সি পেলে। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ১২ বছর বয়সি ছেলেকে নিয়ে ৫০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে রিও থেকে সান্তোস এসেছেন কার্লোস মোতা।
৫৯ বছর বয়সি এ ব্রাজিলিয়ান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমার পুরো ছেলেবেলা পেলেময়। তখন তিনি ব্রাজিলকে তিনটি বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। তিনি ব্রাজিলের প্রতীক!’
ফুলে ফুলে ঘেরা পেলের কফিনে প্রথম শ্রদ্ধা জানান ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, কনমেবলপ্রধান আলেজান্দ্রো ডমিঙ্গেজসহ ব্রাজিলের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। পিএসজি থেকে ছুটি নিয়ে নেইমারও এসেছেন পেলেকে শেষ বিদায় জানাতে। শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে পেলের স্ত্রী মার্সিয়া আওকি স্বামীর মরদেহের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়লে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। ফিফা সভাপতি তখন আওকিকে সান্ত্বনা দেন।