মালয়েশিয়ায় করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথভাবে মাস্ক না পরায় একটি শপিংমলে পুলিশের হাতে আটক হন মো. জহির নামে এক বাংলাদেশি ও তার সহকর্মী।
তাকে ছাড়াতে এসে তারই এক সহকর্মী পুলিশকে ১৫০ রিংগিত ঘুস প্রস্তাব করেন। পরে পুলিশ দুজনকেই গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালত শুনানি শেষে বুধবার ১০ মার্চ তাদের ২ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দেশটির অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়। মামলার তথ্য বিবরণীতে জানা যায়, ফার্নিচার কর্মী মো. জহির ও তার বন্ধু ২১ ফ্রেব্রুয়ারি একটি হ্যান্ডফোন রিপেয়ার করতে রাজধানীর পেরাই নামে একটি শপিংমলে যান। সেখানে তারা ফেস মাস্ক থুঁতুনির নিচে পরায় টহল পুলিশ তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) লঙ্ঘনের দায়ে আটক করে।
পরে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের নিজেদের ছাড়াতে ওই পুলিশকে ১৫০ রিংগিত ঘুস প্রস্তাব করে। পুলিশ প্রথমে সতর্ক করলেও তারা আবারও একই প্রস্তাব করেন। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করলে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৯ এর ১৭ ধারার উপধারা (খ) অনুযায়ী গতকাল শুনানি শেষে বিচারক আজহারী আহমেদ হামিদ এ দণ্ড প্রদান করেন। রায়ে বলা হয়- এ আইনে দুর্নীতির দায়ে সর্বোচ্চ ২০ বছর ও ১০ হাজার রিংগিত জরিমানার বিধান রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় প্রবাসীরা বলেন, দেশটির পুলিশ ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি নতুন কোনো ইস্যু নয়। কিছু দিন আগেও তারা বৈধ-অবৈধ অভিবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে আর্থিক সুবিধা নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুলিশকে ঘুস প্রস্তাবে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন অভিবাসীদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।