মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা নদীতে কুরবানির ৪৮টি গরুবাহী ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার ডুবে গেছে। শনিবার সকালে উপজেলা কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সূত্রকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৭টি গরু উদ্ধার হলেও এখনো ৩১ গরুর কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার রহমান এবং স্থানীয় কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম ওরফে রূপক গরুবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা থেকে ৪৮টি গরু নিয়ে ট্রলারটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কুরবানির এসব পশু বিক্রি করতে ১৫ জন ব্যবসায়ী যমুনা ও পদ্মা নদী দিয়ে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার সূত্রকান্দি এলাকায় পদ্মা নদীতে গরুবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে গরু ব্যবসায়ীরা সাঁতরে তীরে উঠলেও অধিকাংশ গরু নদীতে ডুবে যায়।
গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন চৌহালী উপজেলার মুরাদপুর মো. নূরুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বলেন, খামারিদের কাছ থেকে ৪৮টি গরু কিনে তারা ১৫ জন ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য ট্রলারে করে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিলেন। তার নিজের ছিল তিনটি গরু। পানি বাড়ায় নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। ১৭টি গরু উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলো নদীতে ডুবে গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পাশে নদীর তীরে যান ইউপি চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম। তিনি বলেন, ট্রলারে রশি দিয়ে বেঁধে গরুগুলোকে নারায়ণগঞ্জে কুরবানি হাটে নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরা। ট্রলারডুবির সময় ১৭টি গরুর রশি কেটে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। গরুগুলোকে নিয়ে ব্যবসায়ীরা তীরে ভিড়েন।
নৌকায় থাকা খামারি লাল মিয়া বলেন, আমার ২টি গরু ছিল। একটিও উদ্ধার করতে পারিনি। আমি পথের ফকির হয়ে গেলাম।