প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই আগামীর বড় লক্ষ্য। বুধবার (২৯ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদে চলমান বাজেট অধিবেশনে সাধারণ আলোচনা পর্বের বক্তব্যে এ কথা বলেন সংসদ নেতা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব খাতেই ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বলে সরকারের খরচ বেড়েছে। যুদ্ধ-সংঘাত-মহামারির মধ্যেও আমরা বাজেটটা দিতে পেরেছি, এটাই বড় কথা।
অতিমারির তৃতীয় বছরে এসে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। তিনি জানান, নতুন অর্থবছরেও অব্যাহত থাকবে সরকারি প্রণোদনা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, সরকার অর্থনীতির চাকা সচল রেখে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখার চেষ্টা করছে। সরকারের নেয়া পদক্ষেপের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে সৃষ্ট অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত হবে। একদিকে যেমন বেকারত্ব হ্রাসে ভূমিকা পালন করবে, তেমনি দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ ছাড়াও সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগের ফলে সাধারণ মানুষের বিপুল কর্মঘণ্টার সাশ্রয় হবে এবং জীবনমান উন্নত হবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের রেল যোগাযোগ সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশ, কৃষি, ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প, ক্ষুদ্রশিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জাতীয় ও আঞ্চলিক অর্থনীতির বিস্তৃত ক্ষেত্রেও প্রভাব সৃষ্টিসহ দেশের বিভক্ত দেশের দুটি অঞ্চলকে একীভূত করে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, সাংস্কৃতিক এবং সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।