রংপুরে দুই ভাবির সহযোগিতায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে জবেদুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রথমবার ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনাটি মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে ঘটেছে।
মামলার ও প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, ওই গৃহবধূকে একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের পুত্র জবেদুল ইসলাম (২৫) গত ৪ রমজান ইফতারের দাওয়াত দেয়। ইফতারের সময় জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ওই গৃহবধূকে অচেতন করায়। পরে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় দুই ভাবি ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আবারও একাধিকবার ধর্ষণ করে জবেদুল।
ওসি আরও জানান, মামলায় বলা হয়েছে, ওই গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় থাকেন। বিষয়টি তিনি অনেকদিন গোপন রেখেছিলেন। কয়েকদিন আগে আবারও গৃহবধূকে ভাবি শাপলা বেগমের বাসায় রাত যাপনের প্রস্তাব দেয় জবেদুল। উপায়ন্তর না দেখে পুরো বিষয়টি ঢাকায় থাকা স্বামীকে খুলে বলেন ওই গৃহবধূ। স্বামী থাকা থেকে এসে এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দাবি করেন। এরই মাধ্যমে বিচারের নামে টাকা দিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা চালায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরে রোববার রাতে ঘটনার শিকার গৃহবধূ দুলাল বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগেই আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত জবে-দুলকে আটক করি।
মামলার পর সোমবার (৩০ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপর আসামী শাপলা বেগম ও রাশেদা বেগমকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খোরশেদ আলী জানান, ঘটনাটি শোনামাত্রই আমি ভুক্তভোগীকে মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছি। এই ঘটনায় যারা মীমাংসার চেষ্টা করেছে এবং অর্থ লেনদেন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।