সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো আগস্ট মাস থেকে কিছুমাত্রায় উৎপাদন বাড়াতে পূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে তেলসমৃদ্ধ প্রতিবেশী সৌদি আরবের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বিরোধের অবসান হলো। রবিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
ওপেক প্লাস গোষ্ঠীতে যে ২৩টি দেশ অন্তর্ভুক্ত তার মধ্যে রয়েছে মূল ওপেকের সদস্য দেশগুলো এবং ওপেকের সদস্য নয় এমন তেল উৎপাদনকারী সহযোগী দেশগুলো। এই সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ওমান, বাহরাইনসহ ১০টি দেশ। গত বছর জোটটির পক্ষ থেকে তেলের উৎপাদন কমিয়ে আনা হয়েছিল। রবিবারের ঘোষণায় তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
ওপেক প্লাসের নেতা সৌদি আরব এবং রাশিয়া উৎপাদনের মাত্রা কম রাখার মেয়াদ আরও আট মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে সংযুক্ত আরব আমিরাত তা প্রত্যাখান করে। এ থেকেই গত সপ্তাহে তৈরি হয় সংকট।
ভিয়েনাভিত্তিক ওপেকপ্লাস-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জোটের সদস্যরা আগস্ট থেকে প্রতিমাসে ৪ লাখ বিপিডি (ব্যারেল পার ডে) উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। মহামারি কমে আসাতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহযোগিতার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিসেম্বরে বাজারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সৌদি আরবের চাহিদা মতো ২০২২ এপ্রিল থেকে বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত তেলের উৎপাদন কম রাখার সময়সীমার মেয়াদও বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
আমিরাত ও সৌদি আরবের বিরোধ নিরসনে ওপেকপ্লাস বিভিন্ন সদস্যের জন্য ২০২২ সালের মে মাস থেকে নতুন কোটা প্রণয়ন করেছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, রাশিয়া, কুয়েত ও ইরাক। রয়টার্সের হিসাব মতে, নতুন এই সমন্বয়ের ফলে আগামী বছর মে মাস থেকে ১.৬৩ মিলিয়ন বিপিডি সরবরাহে যুক্ত হবে।
আমিরাতের বেজলাইন উৎপাদন এখনকার ৩.১৬৮ মিলিয়ন বিপিডি থেকে আগামী বছরের মে মাসে ৩.৫ মিলিয়ন বিপিডিতে গিয়ে দাঁড়াবে। সৌদি আরব ও রাশিয়ার বেজলাইন উৎপাদন এখনকার ১১ মিলিয়ন থেকে ১১.৫ মিলিয়ন বিপিডি হবে।