প্রায় ১০ বছর পর হতে যাচ্ছে লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে চলছে সাজ সাজ রব, অন্যদিকে একের পর এক চলছে গণ পদত্যাগ। গত এক সপ্তাহে জেলা জাতীয় পার্টির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন না করা, সরকারি প্রজেক্ট বরাদ্দে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিবের একক আধিপত্যে নেতাকর্মীরা তার প্রতি নাখোশ। এ কারণেই সম্মেলনের আগে তারা পদত্যাগ করছেন।
নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের গণ পদত্যাগ ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টিতে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা স্থানীয় রাজনীতিবিদদের।
সম্প্রতি পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম আউয়াল, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, সদর উপজেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম রাজু, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র রায়, একই ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি শাহিনুর ইসলাম ও একই ওয়ার্ডের ৩৫ জনসহ মোট অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে সদ্য পদত্যাগ করা পৌর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম আউয়াল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এখানে নেতাকর্মীদের কোনো মূল্যায়ন নেই। তাছাড়া দলের সদস্য সচিবের একক আধিপত্য বিস্তারের কারনো কোনো নেতাকর্মী দাম পায় না। তিনি যা করবেন তাই। আমাদের কথার কোনো মূল্যায়ন নাই। তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পদত্যাগকৃত নেতাকর্মীদের ধারণা, তাদের মতো আরও বহু নেতাকর্মী দল থেকে সরে দাঁড়াবেন। তবে এমনটি মনে করেন না পৌর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যারা পদত্যাগ করছে তারা কোনো পদে নেই। ফলে তাদের পদত্যাগ দলের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
আজ শনিবার জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এতে আরও উপস্থিত রয়েছেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী এবং মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু।