
আবু তালহা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, বর্তমানে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত শামীমা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে না অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
স্লিপের বরাদ্দের টাকায় অনিয়ম ও দুর্নীতি, বিদ্যালয়ের ছয়টি মেহগনি গাছ নিলাম না করে আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত পাঠ্যপুস্তক ও উপবৃত্তি প্রদানে জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা, শামীমা ইয়াসমিনের স্বামী উপজেলার চৈরগাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খুরশীদ আলমকে দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সহ নানা অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছে। এমতাবস্থায় সহকারী শিক্ষক শামীমা ইয়াসমিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০২১-২২ অর্থবছরের রুটিন মেইনটেন্স বরাদ্দের ৪০ হাজার টাকা প্রাক্কলন মোতাবেক খরচ না করে নিজের কাছে রাখা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের রেজুলেশন বহি বিধি বহির্ভূত ভাবে বাড়িতে নিয়ে কাটাছেঁড়া ও ঘোষামাজা করে হিসাব দাখিল করেছেন।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের সময় কেটে ফেলা ছয়টি মেহগনি গাছ নিলাম না করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির জিম্মায় রাখার কথা বলে আত্মসাৎ। পরবর্তীতে আত্মসাৎ এর অভিযোগ ঢাকতে গাছ কিনে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতির বাড়ীতে রাখে এমন নানা অভিযোগ থেকে বাঁচতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন শামীমা ইয়াসমিন।
এসব অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে দেখতে সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিস, শাহজাদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ফজলুল হক কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ০৩-০৫-২০২৩ তারিখে তদন্তের তারিখ থাকলেও শামীমা ইয়াসমিন ও তার স্বামী খুরশীদ আলম তাদের ক্ষমতা বলে তদন্ত বাতিল করেছেন বলেই অভিযোগ উঠেছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, বর্তমানে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত শামীমা ইয়াসমিন জানান, আমি দায়িত্বে থাকার সময় প্রাক্কলন মোতাবেক কাজ করেছি তারপরও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আমি তার জবাব দিয়েছি।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সন্ধ্যা রানী সাহা জানান, জেলা শিক্ষা অফিস বিষয়টি অবগত রয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তবে বর্তমানে কি কারণে তদন্ত বন্ধ রয়েছে সেটা বলতে পারছি না।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিদ্যালয়টির অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বর্তমানে তদন্ত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে আপনাদের জানানো হবে।