যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় অবশেষে কাতারের রাজধানী দোহায় শনিবার শুরু হচ্ছে আফগান-তালেবান ঐতিহাসিক সেই আলোচনা।
এ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত মার্চে। কিন্তু আফগান সরকারের আপত্তিতে তা আটকে ছিল এত দিন। আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবান শীর্ষ নেতৃত্বের সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন মার্কিন প্রতিনিধিও।খবর ইয়াহু নিউজের। গত ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকার সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সই করেছিলেন তালেবানের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা মোল্লা আবদুল গনি বরাদর। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে গোটা বিষয়টির মধ্যস্থতা করেছিলেন শান্তিদূত জালমি খলিলজাদ।
তালেবানের শর্ত অনুযায়ী, আফগানিস্তান থেকে সেনার সংখ্যা ১২ হাজার থেকে কমিয়ে ৮,৬০০ করার কথা ছিল আমেরিকার। যে প্রক্রিয়া ফেব্রুয়ারিতেই শুরু করে দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। কিন্তু তালেবানদের চাহিদা মতো তাদের ৫ হাজার বন্দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে বেঁকে বসে আশরাফ গনির সরকার।
আফগান সরকার জানায়, বন্দি মুক্তির বিনিময়ে আফগানিস্তানে যে শান্তির প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছিল, তা তো তারা রাখেইনি, উল্টে আফগানিস্তানের নানা প্রান্তে জঙ্গি হামলা ও সন্ত্রাসের ঘটনা বহু গুণ বেড়ে গেছে।
আফগান সরকারের উপরে চাপ তৈরি করে প্রাথমিকভাবে কিছু বন্দির মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল আমেরিকা। কিন্তু শেষ দফার ৪০০ বন্দির মুক্তি নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয়। আফগান সরকার ফের জানায়, এই সব তালেবান বন্দিকে মুক্ত করার কোন প্রশ্নই আসে না। অবশেষে সেই জটিলতাও কেটে শুক্রবার।
আফগান সরকার ও তালেবানদের ২১ জন করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে। শেখ আব্দুল হাকিমকে তাদের মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে তালেবান। এই মাসের গোড়াতেই নিজেদের প্রতিনিধির তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছিল তারা। আফগান সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মাসুম স্টেনকজাই। বৈঠকে চার নারী প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকবেন।