ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা। সবকিছু ঠিকঠাক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফানুস ওড়ানো দেখতে বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে হাজারো উৎসুক মানুষের ভিড়। তারা সাক্ষী হবেন ইতিহাস গড়ার। আর এটি সফলভাবে উড়লেই রেকর্ড হবে, নাম উঠবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে। আয়োজকরাও দৃঢ় সংকল্প। টানা দুই ঘণ্টা ফানুসটি ওড়ানোর জন্য প্রক্রিয়া চললো। কিন্ত সময়টা ফানুস ওড়ানোর জন্য অনুকূলে ছিল না। বসন্তের মধ্যরাতের শিশিরে ফানুষটি ভিজে যাওয়ায় সেটি আর ওড়ানো সম্ভব হয়নি। অবশেষে আপাতত ব্যর্থ হলেন এর কারিগররা আর ভগ্নমনোরথে ফিরে যান উৎসুক দর্শকরাও।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বরগুনার সার্কিট হাউস মাঠে টানা দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর ব্যর্থ হয় এ উদ্যোগ। শিশিরের কারণেই ফানুস ওড়ানো ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া এবং মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার জন্যে ৫০ ফিট উচ্চতা এবং ৩৪ ফুট ৮ ইঞ্চি প্রশস্ত সর্ববৃহৎ ফানুসটি তৈরি করে বরগুনার সাইন্স সোসাইটি। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় চারদিন ধরে ফানুসটি তৈরি করে বরগুনা সায়েন্স সোসাইটির কিশোর ও তরুণেরা।
মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিতে বানানো এ ফানুসটির নাম রাখা হয় ‘বিবি-২০২১’। মূলত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
বরগুনা সাইন্স সোসাইটির সভাপতি আকিল আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের প্রচেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখিনি। কিন্তু, শিশিরের পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় আমরা সফল হতে পারিনি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফানুস ওড়ানোর এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আকিল আহমেদ আরও জানান, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফানুস ওড়ানোর রেকর্ডটি কলম্বিয়ার। ৩৮ ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতা এবং ৩২ ফুট ৯ ইঞ্চি প্রশস্ত ফানুসটি ওড়ানো হয় কলাম্বিয়া কাউকা বলিভার এলাকায়। ২০০৯ সালে ১১ জানুয়ারি জেসুস আলবার্টো নামের একজন এ ফানুসটি উড়িয়ে জায়গা করে নেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।