আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ এনে এবার মাঠে নেমেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন শিক্ষকদের একাংশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগসংবলিত নানা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে তাদের হাতে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ তুলে বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের নিয়ে যে মন্তব্য করছে তা অশালীন। এতে শিক্ষকরা আহত হয়েছেন।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতেই পারে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চিত এসবের একটি সমাধান হবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য কখনও কাম্য নয়। আমরা আমাদের শিক্ষার্থী ও সন্তানদের এ রকম শিক্ষা কখনই দিইনি।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ রকম ভাষা কখনই কাম্য হতে পারে না। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। শিক্ষকদের নিয়ে এমন ভাষা ব্যবহারের পর আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই প্রতিবাদে নেমেছি।
তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন তার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। তাদের দাবিগুলো কতটুকু যৌক্তিক তা প্রশাসন বিবেচনা করবে। কিন্তু দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও অশোভন ভাষা ব্যবহার কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। ক্ষোভের ভাষা ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের আরও সহনশীল হওয়া প্রয়োজন।
ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিমাদ্রি শেখর রায় জানান, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতেই পারে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিশ্চিত এসবের একটি সমাধান হবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য কখনও কাম্য নয়।
সহকারী অধ্যাপক জাহিদ হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন তার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। তাদের দাবিগুলো কতটুকু যৌক্তিক তা প্রশাসন বিবেচনা করবে। কিন্তু দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও অশোভন ভাষা ব্যবহার কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
তবে এই অভিযোগ নাকচ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিছু শিক্ষক এসব কথা বলছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, আমাদের আন্দোলন থেকে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষকদের নিয়ে এমন মন্তব্য করেননি। যদি বাইরে থেকে কেউ এমন কিছু করে থাকে তাহলে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এদিকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের ওপর হামলা করেছে, কই তারা তো এটি নিয়ে কিছু বলেননি। ভিসি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে ফাঁস হওয়া এক অডিওতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন এটি নিয়েও তারা কিছু বলেননি। আমরা মনে করছি, আমাদের এ যৌক্তিক আন্দোলনকে তারা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমাদের বিরুদ্ধে এ প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।