পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খান এবং তাঁর দলের নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাইফার মামলায় তাঁদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
আজ মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশির উপস্থিতিতেই বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এ রায় দেন।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে দেওয়া এ রায়কে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকেরা।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের আগস্টে ইমরান খান ও কোরেশির বিরুদ্ধে সাইফার মামলা করা হয়।
এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের ইলেকশন কমিশন পিটিআইয়ের নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট কেড়ে নিয়েছিল এবং বলেছিল, দলটি তাদের অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক নির্বাচনের সময় সংবিধান এবং নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছে। পরে গত ১১ জানুয়ারি পেশোয়ার হাইকোর্টের দুই বিচারকের একটি প্যানেল পিটিআইকে ক্রিকেট ব্যাট নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ। ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারি কোষাগার থেকে না জানিয়ে উপহার বিক্রির দায়ে তিনি এখন তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ওই একই রায়ে ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্যও ঘোষণা করেন আদালত।
আজ সাইফার মামলায় তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।