বাসুদেব বিশ্বাস, বান্দরবান: পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইক্ষু,সাথী ফসল ও গুড় উৎপাদনের গুরুত্ব এবং সম্ভাবনা শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ জুন (শনিবার) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে পার্বত্য এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদার প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিট কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এসময় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী,সদস্য বাস্তবায়ন ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুণ-অর-রশীদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো: ইয়াছির আরাফাত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এম এম শাহনেয়াজ, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদার প্রকল্পের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্যছেনসহ বিভিন্ন এলাকার ইক্ষু চাষীরা এবং সাংবাদিকসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বান্দরবানে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল, কৃষির পাশাপাশি ইক্ষুচাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক চাষী। এসময় বক্তারা আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় দিন দিন ইক্ষু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ক্ষতিকর তামাকের চাষ বন্ধ করে ইক্ষু চাষ বৃদ্ধি করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চাষীদের নানা ধরণের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় ১২০-১৩০ টন গুড়ের চাহিদা রয়েছে আর এই চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় মাত্র ১৫-২০ টন আর এই ঘাটতি মেটাতে ইক্ষুর আবাদ সম্প্রসারণ এবং পাহাড়ী আখের গুড় উৎপাদন কার্যক্রম আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
সভায় প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কৃষি এবং কৃষকদের উন্নয়নে পার্বত্য এলাকায় ক্ষতিকর তামাকের চাষ বন্ধ করে ইক্ষু চাষ বৃদ্ধি করে কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আগামীতেও আরো নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং ইক্ষুর ব্যাঁপক উৎপাদন বৃদ্ধি, সেই সাথে প্রচুর গুড় উৎপাদন হবে পার্বত্য জেলায়।