রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে অপহৃত এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া নলুয়া ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ফরহাদাবাদ এলাকার আবু সুফিয়ান রানা (৩১) ও তার স্ত্রী শারমিন কাওসার হান্না (২২) এবং হাটহাজারীর চিপাতলী এলাকার নুরুজ্জামান (৫৫)।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী শিশুর বড় বোনের সঙ্গে দুবাই প্রবাসী মো. শহিদুল করিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শহিদুল স্ত্রীকে নিয়ে দুবাই চলে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি স্ত্রীকে বিক্রি করেন। এরপর তিনি শ্যালিকাকে দুবাই পাচারের পরিকল্পনা করেন। গত ৩ জানুয়ারি ভুক্তভোগী ছাত্রী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অপহৃত হয়। তার পরিবার খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে এ ঘটনায় শহিদুল জড়িত। পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে রাজধানীর শাহ আলী থানায় শহিদুলসহ তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে র্যাব। একপর্যায়ে অপহরণের ঘটনায় জড়িত দুজনের অবস্থান চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় শনাক্ত হয়। শুক্রবার রাতে থানার চৌধুরী পাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে আবু সুফিয়ান রানা ও তার স্ত্রী শারমিন কাওসার হান্নাকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে হাটহাজারীর চিপাতলী এলাকা থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুজ্জামানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন সকালে সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়ন থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা অসহায় নারীদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই পাচার করে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সেখানে পাচারের উদ্দেশ্যে তারা অপহরণ করে। এজন্য ওই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম ও আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গ্রেপ্তার তিনজনকে শাহ আলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।