জামালপুরের মাদারগঞ্জে অত্যন্ত নিচু জমিতে মুজিববর্ষে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করায় সামান্য বর্ষাতেই আশ্রয়ণের চারপাশ পানিতে থৈ থৈ করছে। এতে সেখানে বসবাসকারীরা বিদুৎবিহীন অন্ধকার ঘরে সাপ-পোকামাকড়ের আতঙ্ক নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।
এ ছাড়া আশ্রয়ণের চারপাশে পানি থাকায় শিশুদের ঘরে রেখে বাইরে কাজে যেতেও সাহস পাচ্ছেন না সেখানে বসবাসকারীরা।
মঙ্গলবার সরেজমিন সেখানে গেলে বাসিন্দারা জানান, আশ্রয়ণের জায়গাটি যমুনার একটি শাখা নদী। যে কারণে এলাকার কোথাও বর্ষার পানি না থাকলেও আশ্রয়ণের এই জায়গাটিতে পানি উঠেছে। স্বাভাবিক বন্যা হলেও সেখানে ঘরের চাল পর্যন্ত পানি হবে এবং তীব্র স্রোত বইবে বলে আশঙ্কা করেন তারা।
নিচু জায়গায় মাটি ভরাট না করেই সেখানে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়া হয়নি কেন জানতে চাওয়া হয়। এতে নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক আশ্রয়ণের বাসিন্দারা জানান, তারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পিআইও অফিসের লোকজন মাটির ভরাটের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই বলে জানিয়েছেন।এতে আশ্রয়ণ ঘরে বরাদ্দ পাওয়া পরিবারগুলো নিজেরাই যার যার ঘরের ভিটিতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ করে বালি ভরাট করেছে।
সেখানের বাসিন্দারা জানান, আশ্রয়ণটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, সরকারি কোনো টিউবওয়েলও নেই। একটি ড্রেজার মালিকের স্থাপন করা টিউবওয়েল থেকে তারা খাবার পানি নিচ্ছেন। কিন্তু আর এক ফুট পানি বাড়লেই সেই টিউবওয়েলটিও তলিয়ে যাবে।
বন্যা না হলেও আশ্রয়ণের ঘর জলমগ্ন হওয়ার পর কোনো ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার তাদের দেখতে আসেননি। কোনো সরকারি সহায়তাও পাননি বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জানান, আশ্রয়ণ কমিটির সদস্য হলেও ওই আশ্রয়ণগুলো তৈরির সময় তাকে কিছুই জানানো হয়নি। সেখানে সম্পূর্ণ কাজ করেছেন ইউএনও ও পিআইও আফিসের লোকজন। যে কারণে তিনি এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারেননি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নিচু জায়গা নির্বাচন করার বিষয়ে জানতে চাইলে বালিজুড়ী ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো. সোলায়মান জানান, তার আগের ইউএনও মোহাম্মদ আবুল মনসুর ওই জায়গাটি সিলেক্ট করেছিলেন।