![InShot_20240419_144723636](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2024/04/InShot_20240419_144723636.jpg)
টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) টেকনাফের নাফ নদী হয়ে নতুন করে তারা বাংলাদেশ প্রবেশ করে।
পরে কোস্টগার্ড তাদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর কাছে হস্তান্তর করে। এ নিয়ে মিয়ানমার থেকে সর্বমোট ২৭৪ জন আশ্রয় গ্রহণ করে বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও মিয়ানমারের সেনা সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার দিনের বেলা প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরো ১৪ জন সদস্য।
তিনি আরও বলেন, তার আগে থেকে ওখানে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ জন। তাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।