ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে মহামারি পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। প্রতিদিনই ভাঙছে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্টিটিউট ফর হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (আইএইচএমই) নতুন উদ্বেগের খবর দিয়েছে।ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনায় ভারতে দৈনিক মৃতের সংখ্যা বেড়ে হতে পারে সাড়ে ৪ হাজার। আর জুলাইয়ের শেষে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়বে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায়ও প্রায় একই রকমের ইঙ্গিত মিলেছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএইচএমই-এর ‘কোভিড-১৯ প্রোজেকশন্স ইন ইন্ডিয়া, ২০২১’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের দাবি, এপ্রিলের মাঝামাঝি কোভিডই ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষের রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পঞ্চম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ১২ এপ্রিল থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে। তার ফলে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দেশটিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি হবে। ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যাবে সংক্রমণের হারও। ফলে ১২ এপ্রিল থেকে ১ আগস্টের মধ্যে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা আরও প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার বাড়বে। যার পরিণতিতে জুলাইয়ের শেষে করোনায় মৃতের সংখ্যা হবে ৬ লাখ ৬৫ হাজারের কিছু বেশি। গবেষণা জানিয়েছে, মাস্ক না পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনে চলার কারণে এপ্রিলের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে নতুন সংক্রমণের ঘটনা বেড়েছে ৭১ শতাংশ। আর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
তবে মানুষ যদি মাস্ক পরার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, টিকাদান প্রক্রিয়া যদি স্বাভাবিক থাকে, তা হলে করোনায় মৃতের সংখ্যা পূর্বাভাসের চেয়ে ৭০ হাজার কমে যেতে পারে বলেও ওয়াশিটংন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতে টিকাদানের গতিতেও আশাপ্রকাশ করা হয়ে এই গবেষণায়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট ক্রমেই প্রকট আকার ধারণ করছে। কোভিড রোগীদের সেবায় অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে হাসপাতালগুলোতে।