যশোর জেলা প্রতিনিধি: স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের মূল হোতা কামাল গং কর্তৃক বেনাপোল থেকে রং মিস্ত্রি ওমর ফারুক ওরফে সুমনকে অপহরণ পূর্বক হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী কামালসহ ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে যশোর ডিবি পুলিশের চৌকস টিম।

এসময় লাশ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ হত্যাকাজে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করেছেন তারা।

২০ নভেম্বর বেলা ১২.৩০ ঘটিকার সময় ঢাকার আশুলিয়া কাঠগড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী কামালসহ অন্যতম সহযোগী আসামী এজাজ ও ইসরাফিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে সুমনকে হত্যার ২৪ ঘন্টা পার না হতেই গত ১৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ০৯টার সময় ঢাকার কোতয়ালী থানার শাখারী বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার সাথে জড়িত ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

যশোর ডিবি পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ডিবি’র এসআই মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই শামীম হোসেন, শফি আহম্মেদ রিয়েলদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম ঘটনাস্থলের আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আসামীদের মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া কাঠগড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী কামালসহ অন্যতম সহযোগী আসামী এজাজ, ইসরাফিলদেরকে গ্রেফতার করে।

এসময় তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল স্থল বন্দর বাস টার্মিনাল এর সামনে থেকে অপহৃত সুমনের মৃতদেহ গুমের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার এবং ঘটনাস্থলে ঘরের ছাদ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ ও প্লাস উদ্ধার পুর্বক জব্দ করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, বেনাপোল বড়আঁচড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে প্রধান আসামী কামাল হোসেন(৪০), বেনাপোল সাদিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইজাজ (২৪) ও একই গ্রামের রফিজুল ইসলামের ছেলে
ইসরাফিল (২৯)।

যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার পিপিএম(বার) জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বর্ণ চোরাকারবারীদের ৩৫টি সোনার বার অনুমান ৩ কেজি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামালগং ভিকটিম সুমনকে সন্দেহে আটক করে মারধর করে।

এসময় তারা স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মাগুরা সদর থানাধীন রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। গত ১৬ নভেম্বর বেলা ১২.০০ ঘটিকার সময় মাগুরা রামনগর থেকে ভিকটিম সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যশোর জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্র, গুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।