May 18, 2024, 11:01 pm
সর্বশেষ:
রামপালে ৬৩০ জন রোগী পেল বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের সুযোগ  চাল বিতরণে অনিয়মের দায়ে ইউপি সদস্য বরখাস্ত মোরেলগঞ্জের পোলেরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ১৩ দোকান পুড়ে ছাই মৌলভীবাজারে নদী রক্ষার বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতা ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী বেনাপোলে দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচনী গণসমাবেশ দেশজুড়ে আজ থেকে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকর বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট সরকারের জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি হ্রাস করেছে : প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়টি ‘ন্যায় ভ্রষ্ট’: রিজভী

  • Last update: Monday, November 20, 2023

জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়টি ‘ন্যায় ভ্রষ্ট’ বলে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সুবিচার থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে ।

সোমবার বিকেলে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সকল দুর্যোগ ও দুর্ভাগ্যের উৎস অবৈধ আওয়ামী সরকার। যাদের অবৈধ সত্তা, তাদের দ্বারা জনগণের হীতকর কোনো কাজ হতে পারে না। দখলদার সরকার কখনোই মানব সভ্যতার পরিপূরক কোনো কাজ করবে না। যে সরকার মানবাধিকার ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে সে সরকার কখনোই ক্ষমতা দখল করে রাখবে না। গণতন্ত্রই হয় তা মূল চেতনা। অবাধ মত প্রকাশ, সভা-সমাবেশের অধিকার, লেখনির স্বাধীনতা গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের প্রধান শর্ত। এই শর্তগুলি লোপ পেয়েছে বর্তমান ২ নম্বর বাকশালী শাসন পদ্ধতির প্রভাবে। রাষ্ট্র এখন ব্যক্তির স্বাধীনতা হরণ করে একনায়কের প্রভুত্ব কায়েম করেছে। রাষ্ট্র, সরকার ও দল এখন একাকার। মানুষ এখন স্ব-ইচ্ছায় চলতে পারে না, পছন্দমত ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারে না। মানুষ কোনো দাস নয়, কিন্তু আওয়ামী সরকার চায়, তার কাছে মানুষ স্বেচ্ছাদাসত্ব করুক। মানুষ নিজের স্বাধীনতা সমর্পণ করুক তার কাছে। শেখ হাসিনা স্বাধীনতা বলতে বোঝেন অপরের ওপর অধীনতা চাপিয়ে দেয়া। এজন্যই তিনি সর্বমহলের দাবি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে বিশ্বাসী নয়। দেশের জনগণের ও আন্তর্জাতিক চাপকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি।

তিনি বলেন, একনায়ক, একদলীয় স্বৈরশাসক, ফ্যাসিস্ট শাসন মানুষের স্বাধীনতা হারাবার একটি বর্বর শাসন। জবাবদিহিতা ও দায় ইত্যাদি ধার ধারে না কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা। কারণ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসন পদ্ধতিতে প্রতিটি কাজের হিসাব দিতে হয় সরকারকে। এজন্যই লুটেরা শাসকগোষ্ঠী সুষ্ঠু নির্বাচনকে অগ্রাহ্য করে। অবিরাম গতিতে গুম, খুনের মনুষ্যত্বহীন কর্মসূচি চালু করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করতে। গড়ে তোলা হয় পরিকল্পিতভাবে ভয়ের রাজত্ব। পরিবর্তনের সুযোগগুলো বন্ধ করা হয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা ১৫ বছরে নিষ্ঠুরভাবে গড়ে তুলেছেন দুঃশাসনের বাতাবরণ। শেখ হাসিনার দেশ শাসনের কোনো বৈধ অধিকার নেই। এই সরকার নির্বাচিত নয়। দেশে জনগণকে এরা ‘এলিনিয়েট’ করেছে ভোটাধিকার থেকে। আবারো নির্বাচনের নামে ইয়ার্কি করা শুরু করেছে আওয়ামী ‘ডমেস্টিকেটেড’ নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লোভ-লালসা তৃপ্তিহীন থাকছে, জনগণের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা লুটের আকাঙ্ক্ষা থেকেই আবারো একতরফা নির্বাচনের বন্দোবস্ত চলছে। নির্বাচন কমিশন যে সরকারের পথরেখা অনুসারে চলবে তার প্রমাণ নিজেরাই দিচ্ছে। সরকারের সাজানো প্রশাসনের কোনো রদবদল করবে না বলে জানিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের রক্ত পরীক্ষা করে কমিশনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সুতরাং এটিই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একদলীয় বাকশালী নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের অর্থই হলো নির্বাচনী আত্মহত্যা। একতরফা নির্বাচনের জন্য আবারো শুরু হয়েছে অদৃশ্য করা, খুন, জখমের উপুর্যপুরী নানামুখী রাষ্ট্রীয় সহিংসতার ছোবল। খুলনা ফুলতলা বিএনপির সভাপতিকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। এখনো তার হদিস দেয়া হয়নি। ইতোমধ্যে বেশকয়েকজন যুবনেতা ও ছাত্রনেতাকে গুম করে রাখার পর আদালতে হাজির করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের আটক করে কয়েকদিন গুম করে রাখা হচ্ছে। এই গুমের সময় তাদের ওপর চলে পাশবিক নিপীড়ন-নির্যাতন।

তিনি বলেন, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে হাই কোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে বাতিল করার বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে যে আপীল করা হয়েছিল গতকাল তা‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়েছে। আপীলকারী দল রায়টিকে‘ন্যায় ভ্রষ্ট’ বলে উল্লেখ করে তাদেরকে সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ন্যায়ভ্রষ্ট রায় প্রদানের মাধ্যমে তাদের সুবিচার থেকে বঞ্চিত করার দৃষ্টান্ত নতুন নয় বলেই দেশবাসী এই রায়ে বিস্মিত না হলেও সুবিচার লাভে শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগে যুক্ত ব্যক্তিগণের রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক বক্তব্য এবং ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করবে ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়ছে।

রিজভী বলেন, যে রাজনৈতিক দলের বিস্তৃতি সারাদেশে দৃশ্যমান, জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের প্রায় সকল স্তরে প্রতিনিধিত্বশীল থাকার প্রমাণিত দৃষ্টান্তের অধিকারী, তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পাশাপাশি নাম গোত্রহীন অপরিচিত দলকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয়ার দৃষ্টান্ত সুবিচারের প্রমাণ বহন করে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধীতা করা যেকোনো রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার, এবং সেই অধিকারের সুরক্ষা বিচার বিভাগের কাছেই প্রাপ্য। এর ব্যাতিক্রম গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থি এবং অগ্রহণযোগ্য।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC