
দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলছে। বিশেষ করে ভারতের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। পাকিস্তানে কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বাংলাদেশের অবস্থাও ভালো নয়। এমন ভয়াবহতার মাঝে ভারতে চলছে আইপিএল। অন্যদিকে পাকিস্তানও স্থগিত পিএসএল চালুর চেষ্টা করছে। আর বাংলাদেশ-পাকিস্তানে শুরু হয়েছে ‘ঈদ শপিং’! কঠিন এই সময়ে বাঁচতে হলে সবকিছু বন্ধের আহ্বান শোয়েব আখতারের।
করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়াতে বাংলাদেশ সরকার লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। অন্যদিকে মৃত্যুর মিছিল চলছে ভারতে। হাজার হাজার লোক দিল্লিতে মারা যাচ্ছেন। এই তিন দেশের নাজুক অবস্থা শর্তেও মানুষজন নানা বাহানায় ঘরের বাইরে যাচ্ছেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেছেন, ‘কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। এই অবস্থায় আইপিএল চালানো বেশ কঠিন। তবে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে চালিয়ে যেতে না পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পিএসএল স্থগিত হয়েছিল বলে যে আইপিএলও স্থগিত করার কথা বলছি, তা নয়। আমি মনে করি, জুনে পিএসএলও স্থগিত হওয়া উচিত।’
পাকিস্তানের সাবেক গতিদানব মনে করেন, কেবলমাত্র আর্থিকভাবে লাভবান হতেই এই সময় আইপিএল চালানো হচ্ছে, ‘আমি মনে করি আইপিএল গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। আইপিএলের টাকা অক্সিজেন ট্যাংক কেনার জন্য ব্যয় করা উচিত। এটা মানুষকে মৃত্যু থেকে বাঁচাবে। এই মুহূর্তে আমাদের ক্রিকেট কিংবা বিনোদনের প্রয়োজন দরকার নেই। আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মানুষের জীবন বাঁচাতে চাই। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের বেঁচে থাকা।’
বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানের মানুষও ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত। বাঁচতে হলে ঈদ শপিং বাদ দেওয়ার অনুরোধ শোয়েবের, ‘রমজানের শেষ ১০ থেকে ১৫ দিনে কারফিউ জারির আবেদন জানাচ্ছি পাকিস্তানে। ঈদের কেনাকাটায় যাওয়ার দরকার নেই। কেউ কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থায় থাকছে না, কেউ মাস্ক পরে না। অথচ এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি। সুস্থ থাকতে নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে দুই দিন আগে আইপিএল কেন চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। টুইটারে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি উইকেটকিপার লিখেছিলেন, ‘এ মুহূর্তে ভারতে কোভিড পরিস্থিতির অবস্থা ভালো নয়। এই অবস্থায় আইপিএল চালিয়ে যাওয়াটা কতটুকু ঠিক? নাকি এই আইপিএলই কঠিন সময়ে ভারতের মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে! যেটিই হোক ভারতীয়দের জন্য আমার শুভকামনা সব সময়ই থাকবে।’