
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: অবৈধ প্রিন্টিং বন্ধ করা, ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনা ও সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত বৈধ প্রেসে যাবতীয় ছাপার কাজ করার দাবিতে কুড়িগ্রাম প্রেস মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামছুল হক মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সামনে কুড়িগ্রাম প্রেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় সমিতির অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। সরকারি অনুমতি নিয়ে তারা বসে থাকলেও অবৈধভাবে অন্যরা প্রিন্টিং কাজ করায় তারা আর্থিক সম্মুখিন হচ্ছেন। অথচ ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন অনুযায়ী ডিক্লারেশনপ্রাপ্তি ব্যতিরেকে যে কোন প্রতিষ্ঠানের মুদ্রণকাজ করা দন্ডনীয় অপরাধ। অথচ জেলার সবক’টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কম্পিউটার প্রিন্টের দোকান বা স্ক্রিন প্রিন্টের দোকান মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের নাম ব্যবহার করে পোস্টার, লিফলেটসহ অন্যান্য নির্বাচণী প্রচারণী সামগ্রী ছাপানো অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি সরকারি অনুমোদন ছাড়া এবং মুদ্রণযন্ত্র ছাড়াই প্রেস নাম দিয়ে অবৈধভাবে প্রিন্টিং কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার প্রজ্ঞাপন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরাও জানেন না অবৈধ মুদ্রনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করার কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বা আইনী সমস্যায় পড়তে পারেন।
এমতাবস্থায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বৈধ প্রেস মালিকগণ। তিনি জানান কুড়িগ্রাম জেলা শহরে ১২টি ও নাগেশ্বরী উপজেলায় ১টি অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রেস রয়েছে। অথচ সারা জেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। জন সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা, অবৈধ প্রিন্টিং বন্ধ করা, ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন প্রেস মালিক সমিতি।