হবিগঞ্জের মাধবপুর থানায় পুলিশ কনস্টেবল বাবুল মিয়ার সন্ধানে আসেন আনোয়ারা বেগম (৩২) নামের এক নারী। তবে থানায় ওই কনস্টেবলকে না পেয়ে বিষপান করেছেন তিনি। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আড়াইটার দিকে মাধবপুর থানা প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
আনোয়ারা বেগম কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিণ রাজারকুল গ্রামের দিদারুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে আনোয়ারা বেগম মাধবপুর থানায় কর্মরত কনস্টেবল বাবুল মিয়ার সন্ধানে আসেন। কিন্তু কনস্টেবল বাবুল মিয়া তার দেশের বাড়ি কুমিল্লা থাকায় তার সঙ্গে দেখা হয়নি। এ সময় পুলিশ কোনও অভিযোগ থাকলে থানায় জানানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু কোনও কিছু না বলে থানা কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এর পর ব্যাগে থাকা বিষের বোতল বের করে থানা প্রাঙ্গণে পান করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এরপর সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আনোয়ারা বেগমের স্বামী দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘কনস্টেবল বাবুল মিয়া কক্সবাজার আদালতে কর্তব্যরত থাকা অবস্থায় আনোয়ারার সঙ্গে পরিচয় হয়। এই সূত্রে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নেন পুলিশের এ কনস্টেবল। সম্প্রতি আমি টাকার বিষয়টি জানতে পারলে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। পরে ওই টাকা আদায়ের উদ্দেশে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাধবপুর থানার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়।’
কনস্টেবল বাবুল মিয়া বলেন, ‘কক্সবাজার আদালতে চাকরির সুবাধে আনোয়ারার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের ফলে তার পরিবারে আমার যাতায়াত ছিল। কিছু টাকা আনোয়ারা আমাকে ধার দিয়েছিলেন।’
মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘ওই নারী থানায় আসার পর তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি তড়িঘড়ি করে থানা প্রাঙ্গণে বিষপান করেন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’