নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গতকাল ২৩ মার্চ ২০২৩, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মাজড়া গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এক গ্রাহকের মৃত্যু দাবীর চেক পরিশোধ করেছে।
গত ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে মোসাঃ ছেকেলা বেগম নামের এক মহিলা ৫০০/- টাকা দিয়ে তার আম্মা কে নমিনি করে ১২ বছর মেয়াদী একটি পলিসি গ্রহণ করেন। কিন্তু আল্লাহর বিধান হয় অনড়। পরের মাসেই ছেকেলা বেগম গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হয়। বাড়ীর সবাই তার চিৎকারে সমবেত হয় এবং ডাক্তারের কাছে নেবার পথে ভ্যান রিক্সার উপরেই ছেকেলা বেগম মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে।
ছেকেলা বেগমের আম্মা একজন অশিক্ষিত গ্রাম্য মহিলা। তার নিজেরই বাস স্থানের অভাব। তার ওপর ছেকেলার সন্তানদের নিয়ে তার আম্মা রহিমা বেগম সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। কয়েকদিন পরে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর অফিস কর্মি ছেকেলার প্রিমিয়াম কালেকশনে গেলে তার আম্মা ও প্রতিবেশীরা এই ঘটনা ব্যক্ত করেন। পরের দিন আলফাডাঙ্গা অফিস ইনচার্জ ও জি.এম. (উন্নয়ন) মোঃ হারুনুর রশীদ সহকর্মিদের নিয়ে ভোরবেলা ছুটে যান ছেকেলা বেগমের গ্রামের বাড়ীতে এবং বিস্তারিত অবগত হন। যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হলে অফিস থেকে তদন্ত কর্মকর্তা এসে গোপনে তদারকির কাজ করে রিপোর্ট জমা দেন এবং ১৭ দিনের মধ্যেই ছেকেলা বেগমের আম্মা ও পলিসির নমিনি রহিমা বেগমের নামে জেনিথ লাইফ তার বীমা অংকের ৬০,৩৫০/- টাকার চেক পাঠিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য যে, ছেকেলা বেগম তার মৃত্যুর সময়ে তার ১ মেয়ে (১০) এবং ৯ মাসের এক ছেলে রেখে যায়। ২ সন্তানই এক তাদের নানীর দায়িত্বে লালন পালন হচ্ছে। এক সাথে এত বড় অংকের টাকা পেয়ে ছেকেলার মা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় এবং বলেন যে, আল্লাহর রহমত ছিল তাই ছেকেলা একটা পলিসি করে রেখে গিয়েছিল, না হয় আজ আমাদের কি অবস্থা হতো? এই টাকা ব্যাংক থেকে হাতে পেলে আমি তার বাচ্চাদের হন্য আরেকটি পলিসি করে রাখবো।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাজড়া সরকারী প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিসেস তৃষ্ণা লক্ষ্মী, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এর সিনিয়র জি.এম.(উন্নয়ন) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জি.এম.(উন্নয়ন) মোঃ হারুনুর রশীদ, এ.জি.এম.(উন্নয়ন) নাজমা রশীদ ও মিতা বেগম, ইউ.এম.(উন্নয়ন), জান্নাতারা জেবা ও মোঃ নজরুল ইসলাম, এফ.এ. মোঃ আল আমিন, রেজিয়া বেগম ও স্থানীয় ইউ.পি. সদস্য মোসাঃ ভানু বেগম। অনুষ্ঠান শেষে আরো ৬টি নতুন পলিসি গ্রহণ করা হয়।