
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার থেকে: নতুন বছর ২০২২ সালের ৩৯ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মৌলভীবাজারে মাধ্যমিক শাখার প্রায় ২০ শতাংশ বই পৌঁছায়নি শিক্ষার্থীদের হাতে। মৌলিক বই না পাওয়ায় পাঠদান থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। এক দিকে করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই না থাকায় বিপথগামী হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। জড়িয়ে পড়ছেন নানা অপরাধে। জেলা শিক্ষা বিভাগের এমন অবহেলায় অভিভাবক ও সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মৌলভীবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পুরো জেলায় এখনও ২০ শতাংশ বইয়ের সংকট রয়েছে। সংকটপূর্ণ বইগুলোর মধ্যে বিশেষ করে নবম শ্রেণীর গণিত, বাংলা ও ইংরেজি সহ বিভিন্ন শ্রেণী’র একাধিক বই রয়েছে। সময় মতো বই না আসায় শিক্ষকরা উৎসবের দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিতে পারেননি। যার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার প্রতি অমনোযোগী হয়ে বিভিন্ন অন্যায় অপকর্মের মধ্যে জড়িয়ে পড়ছেন।
নাম না বলা শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই বইগুলো পাইনি। যার ফলে পড়ালেখায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। বইয়ের জন্য বার বার স্কুলে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলার কুলাউড়া উপজেলার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিয়াজুর রহমান, সদর উপজেলার কাওছার আহমদ ও রাজনগর উপজেলার ছালিক মিয়া সহ একাধিক অভিভাবকদের সাথে কথা হলে জানা যায়, তারা বলেন, অধ্যায়নের মূল পাঠ্যপুস্তক বাংলা, ইংরেজি ও গণিত না পেয়ে ছেলে-মেয়েরা হতাশ। কবে নাগাদ তাদের হাতে বই দেয়া হবে তাও জানাতে পারছেন না শিক্ষকরা। অনেক শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে বেকার ঘোরাফেরা করছে।
সদর উপজেলার মাধ্যমিক শাখার একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে এখনও কোনো বই দেয়া সম্ভব হয়নি। কবে দেয়া হবে সেটাও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয়নি। এদিকে রাজনগর উপজেলার একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এপর্যন্ত অর্ধেকের মতো বই দেয়া হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, করোনার কারণে বই মুদ্রণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। যার কারণে সময় মত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই পৌঁছানো যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই অবশিষ্ট বই গুলো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হবে।