প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ইতালিতে ফিরতে পারছেন না ২৬৫ বাংলাদেশি প্রবাসী। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট (চার্টার্ড) আগামী ১২ জুন ঢাকা থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান অফিস ঢাকা মতিঝিলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আবুল কাশেম। বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে নির্দিষ্ট ২৬৫ জন যাত্রীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে আবুল কাশেম জানান, পুরো বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৬৫ যাত্রীর একটা তালিকা বিমান অফিসের কাছে রয়েছে যা ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১২ জুন ইতালির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে বিমান বাংলাদেশ।
জানা গেছে, ইতালি ভিসেন্সা প্রবাসী সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম মান্না সর্দারের একক উদ্যোগে প্রবাসীরা দেশে এসে আটকেপড়া এ সব প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে ফেরত যেতে পারছেন।
গত ২৭ মে ফেসবুক লাইভে এসে এক আলাপনের পর ২৬৫ জন প্রবাসীকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ বিমানের কাছে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের জন্য আবেদন করেন রফিকুল ইসলাম মান্না সর্দার।
তার আবেদনটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বাংলাদেশ বিমানের চেয়ারম্যান আমলে নেন। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে গত ৪ জুন বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইটে সুসংবাদ দেয় বাংলাদেশ বিমান।
এ ব্যাপারে ২৬৫ জনের একজন ইতালি প্রবাসী অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান বলেন, রোম কমিউনিটির কেউ উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু ভিসেন্সার মান্নান সর্দারের একক প্রচেষ্টায় ২৬৫ জন প্রবাসী ইতালি যেতে পারছেন। এটা সত্যিই আনন্দের। যারা এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
এ প্রসঙ্গে ভিসেন্সায় বসবাসরত ব্যবসায়ী মান্নান সর্দার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে গত তিন মাস ধরে কয়েক হাজার বাংলাদেশি আটকা পড়ে দেশে। এদের মধ্যে কারও স্টে-পারমিট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। কারও আবার পরিবার ইতালিতে। তাদের ফিরিয়ে আনতে কমিউনিটি নেতাদের কোনো সহযোগিতা না পেয়ে বাংলাদেশ বিমানের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলি। প্রথমে মানা করলেও পরে তিনি রাজি হন। পরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও ইতালি সরকারের অনুমতিক্রমে ১২ জুন চার্টর্ড ফ্লাইটে রোমে আসবে ২৬৫ জন বাংলাদেশি।
আজ রোববার থেকে তালিকায় অন্তর্ভুক্তরা বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের অফিস থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।