বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় দশ টাকা কেজির চালে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে। প্রতি বস্তায় ৩০কেজি করে চাল থাকার কথা।কিন্তু সেখানে প্রত্যেক বস্তায় কোনোটিতে সাড়ে ৩ কেজি আবার কোনোটিতে ২কেজি করে চাল কম পাওয়া গেছে।
উপকারভোগীদের অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজগর আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিতরণকৃত চাল পরিমাপ করে ওজনে কম দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। পরে চাল বিতরণ করা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বানিয়াখালী এলাকায়।
তবে, অভিযুক্ত খাদ্য বন্ধব ডিলার মো.মুসনুর আলী ওজনে কম হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি খাদ্য গুদাম থেকে যেভাবে এনেছি কার্ডধারীদের সেভাবেই বিতরণ করেছি। কম দিলে গুদাম থেকেই দিয়েছে।
উপকারভোগী মো. মাসুম ফরাজি ,হানিফ মীরসহ অনেকেই জানান, তারা ৩০০টাকায় ৩০ কেজি চাল পাবেন। কিন্তু, চাল নেওয়ার পর তাদের সন্দেহ হলে তারা পরিমাপ করে কারো বস্তায় সাড়ে তিন কেজি আবার কারো বস্তায় ২ কেজি করে কম পেয়েছেন। পরে তারা ইউএনও অফিসে অভিযোগ করেন। তারা জানান, সরকার দরিদ্র মানুষের উপকারের জন্য ১০ টাকা চাল খাওয়াচ্ছে। কিন্তু এদের মতো কিছু অসাধু ডিলারেরর কারণে সরকারের দুর্নাম হচ্ছে। এসব দুর্নীতিবাজদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।
উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, ডিলার মুনসুর আলী ৮ মার্চ গুদাম থেকে ৩৭৭ বস্তা চাল উত্তোল করেছেন। তাকে ৩০ কেজি হিসাবে ১১ হাজার ৩১০ কেজি চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুদাম থেকে তাকে একটি চালও কম দেওয়া হয়নি। নিজে অপরাধ করে এখন উল্টাপাল্টা বলছেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর আলী বলেন,খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি চালের বস্তায় পরিমাপ করে ৩/৪ কেজি করে কম পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ইউএনও জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে, বস্তাগুলো ইনটেক পেয়েছি। যতোগুলো কার্ডের চাল বিতরণ হয়েছে প্রত্যেককে ১০০টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে ডিলারকে। পরবর্তী কার্ডে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এর ব্যতিক্রম হলে তার ডিলারশীপ বাতিল করা হবে।