সরকার আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে করা ‘রাজনৈতিক’ ও ‘হয়রানিমূলক’ ১০৫টি ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন ওই মামলাগুলো ২০০৯ সালের জুলাই থেকে এ বছরের আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে। সেলিমের বিরুদ্ধে ১২০টি ফৌজদারি মামলা ছিল। মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য এর আগে তিনি প্রত্যেকটির জন্য একটি করে আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনও আসামির এই জাতীয় আবেদন এটাই সর্বোচ্চ। তার আইনজীবী প্রাণ নাথ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার ক্লায়েন্ট ও অভিযোগকারীদের মধ্যে ‘মীমাংসা’ হওয়ায় আরও ১৭টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
রাজধানীর লালবাগ নির্বাচনী এলাকার সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, চুরি, বেআইনিভাবে সমাবেশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট ও সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নগরীর বিভিন্ন থানায় এসব মামলা করা হয়েছিল।
এদিকে, লালবাগ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু তার দল ক্ষমতায় থাকাকালে ৭৬টি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বলে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় সূত্র জানায়।আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম ২০০৯ সালের ২৭ মে দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। তার অনুপস্থিতিতেই তার বিচার করা হয় এবং মামলায় তার ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়। তবে, পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
সেলিমের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে তিনটি, চুরির অভিযোগে ১৭টি, চাঁদাবাজির জন্য ২৫টি, হত্যাচেষ্টায় ১৬টি, বেআইনি সমাবেশের দায়ে ২৮টি, যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে ২৮টি, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় নয়টি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে সাতটি মামলা করা হয়। এর আগে, সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক’ মামলাগুলো প্রত্যাহার করে।
তবে, বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে করা কোনও মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। এর আগে, তারাও ২০টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিল।