
পাহাড়ী দ্বা’য়ী— শহিদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা। হলদে দাঁতের মিষ্টি হাসিতে ইমানি আভা যেন ঠিকরে পড়ছে। আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন।
পাহাড়ী এলাকায় খৃ/স্টা/ন মিশনারির যেমনি ধর্ম প্রচারের অধিকার আছে, মুসলিমদেরও অধিকার আছে শান্তিপূর্ণভাবে ইসলাম প্র্যাকটিস ও প্রচারের। ইসলাম গ্রহন, ইসলাম প্রচার এবং মসজিদ নির্মাণ কি অপরাধ? কিন্তু এই অপরাধেই জীবন দিতে হয়েছে ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করছি।
এই নৃশংসতাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয় মুসলিমরা যদি ওদের ভাষায় ওদেরকে পাল্টা জবাব দিতে চায়, তখন পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে। আর এভাবেই কোন এলাকায় দাঙ্গা বা সহিংসতার উৎপত্তি ঘটে। আমরা কোথাও কোন সংঘাত সহিংসতা চাইনা। আমরা চাই ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠী নির্বিশেষে, পাহাড়ীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাথে শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ বিশ্বাসকে লালন করুক। তাই, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি। সময়মত পাহাড়ী সহিংসতা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, ভবিষ্যতে চড়া মাশুল গুনতে হবে।
দেশের চারপাশে সকল পাহাড়ী এলাকায় স্থায়ী সেনা ক্যাম্প থাকা প্রয়োজন। এসব অঞ্চলে মুসলিমদের দাওয়াতি এক্টিভিটিও বাড়াতে হবে। তাওহিদের সুমহান বাণী ছড়িয়ে পড়ুক পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে পাহাড়ে।
-মিজানুর রহমান আল আজহারী