ময়মনসিংহে স্ত্রীর পাহারায় টানা পাঁচ মাস ধরে এক কিশোরী (১৪)কে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লম্পট ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি হোসেন আলী (৫০)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গত রাত ১২টায় নগরীর কৃষ্টপুর এলাকা থেকে র্যাব-১৪ এই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করে। এর আগে র্যাব-১৪-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর পিতা। খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ। তিনি জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা (৫৩) বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় হোসেন আলী ও তার স্ত্রী তামান্না বেগম (১৯) কে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, নগরীর কৃষ্টপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে প্রতিবেশি হোসেন আলী আমাদের বাসায় আসতো। এ সুযোগে সে আমার কিশোরী মেয়ের (১৪) সঙ্গে কথাবার্তা বলত।
চলতি বছরের ১৫ই জানুয়ারি সকালে হোসেন আলীর তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বেগম আমার মেয়েকে তাদের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সেভেন-আপের সাথে নেশা জাতীয় ওষুধ সেবন করায়।
এতে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে হোসেন আলী।
পরে এ ঘটনাটি প্রকাশ করলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে তার সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করতে বলে ধর্ষক। পরের দিন সকালে আবারও তামান্না বেগম ওই কিশোরীকে ডেকে এনে তার স্বামী হোসেন আলীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাইরে বসে পাহারা দেয়। এই ভাবে টানা ৫ মাস ওই কিশোরীকে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হোসেন আলী।
পরবর্তীতে ঘটনাটি কিশোরী তার মাকে জানালে মান-সম্মানের ভয়ে তারা ভাড়া বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
কিন্তু ধর্ষক হোসেন আলী সেখানেও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মামলার বাদী।