
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা করতে না পেরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা। পরে আদালতের বিচারক আব্দুস সালাম মামলাটি নথিভুক্ত করতে সদর পালং থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় মাসুদ রানা (২৩) ও শোলপারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মোল্যাকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ওই ছাত্রীকে দুই বছর ধরে উত্ত্যক্ত করছিলো মাসুদ রানা। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশ হয়েছে। তারপরও বিরক্ত করতো মাসুদ। ২৩ সেপ্টেম্বর স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর শোলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মোল্যার সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বলে, ‘মাসুদ রানা অনেকদিন ধরে বিরক্ত করতো। বিভিন্ন সময় হুমকিও দিতো। আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা ভয়ঙ্কর। আমি বিচার চাই।’
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। মেয়েকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করাই। তার আত্মীয় স্বজনকে জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করবে তা বুঝতে পারিনি। থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’
অভিযুক্ত শোলপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন মোল্যা বলেন, ‘মাসুদ মেয়েটিকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করি বলে আমাকেও আসামি করা হয়েছে। মাসুদ আমার ওয়ার্ডের ভোটার।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা করতে না পেরে ভুক্তভোগী পরিবার আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগটি পালং থানাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পৌঁছায়নি। কপি থানায় এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলা না নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, ‘মামলা না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক না। এমন কোনও অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় নিয়ে আসেনি।’