
বাংলাদেশ-সৌদির ফ্লাইট শর্তসাপেক্ষে চলাচল স্বাভাবিক হলেও সৌদি সরকারের নতুন নিয়মের কারণে প্রবাসীদের সৌদি ফিরে গিয়ে সাত দিন নিজের খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এর জন্য প্রবাসী যাত্রীদের কমপক্ষে খরচ হবে অতিরিক্ত ৫৫ হাজার টাকা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সৌদি সরকারের এ নিয়ম ২০ মে থেকে কার্যকর হবে।
গত ১০ মে সৌদি সরকারের এ বিধিনিষেধ সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে জানিয়েছে। বলা হয়েছে, যারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে সাত দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এছাড়াও হোটেলের খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। সৌদিগামী সকলের মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স থাকতে হবে, যাতে করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসা ব্যয় ইন্স্যুরেন্সের আওতায় বহন করা যায়। যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিং এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে করার নির্দেশনাও দিয়েছে জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সৌদি আরবে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে ঢাকা থেকে ফ্লাইটে যাত্রীকে বোর্ডিং ইস্যু করা যাবে। সৌদিতে পৌঁছানোর পর যাত্রীকে আরও দু’বার করোনা টেস্ট করতে হবে। প্রথমবার করতে হবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ষষ্ঠ দিনে আবারও করোনা টেস্ট করতে হবে। টেস্ট করার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে। দুই বার টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে হোটেল কোয়ারেন্টিন থেকে ৭ম দিনে বাসায় যাওয়া যাবে।
যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। তবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ২ ডোজ, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ ডোজ, মডার্না ২ ডোজ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার ১ ডোজ যারা নিয়েছেন তারা হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার বদলে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকার সুবিধা পাবেন।
সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন নতুন করে নিয়ম করেছে, কেউ যদি করোনাভাইরাস ছড়ায় তাকে পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। যদি সেই ব্যক্তি প্রবাসী হয়, তবে তাকে শাস্তি দেওয়া পর সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত করা হবে এবং ওই ব্যক্তি কোনও দিন সৌদি আরবে আসতে পারবে না।
বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘সৌদি নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। পরবর্তী সৌদি আরবের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি, কারণ সেখানে এখনও ঈদের ছুটি চলছে। তবে আমরা যাত্রীদের আপডেট তথ্য জানিয়ে দেব।’