অনলাইন ডেস্কঃ সৌদি আরবে করোনা ভাইরাস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশিদের মরদেহ জমা হচ্ছে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালের হিমঘরে। পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে লাশগুলো দাফনও করা যাচ্ছে না।
এদিকে সৌদি আরবে মারা যাওয়া প্রবাসীর লাশ বাংলাদেশে পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় হিমঘরে জায়গা হচ্ছে না। জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একটি সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদের লাশ স্থানীয়ভাবে দাফনের জন্য তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবছর সৌদি আরবে সাধারণত প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন কারণে মারা যান। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৭৭ প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হৃদরোগেও মৃত্যু দিন দিন বেড়ে চলছে। সৌদি আরবের হাসপাতালের হিমঘরে লাশ রাখার জায়গা সঙ্কুলান হচ্ছে না। লাশগুলো স্থানীয়ভাবে দাফনের অনুমতি দিতে মৃতদের পরিবারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দেশটির নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মর্গে একটি লাশ সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত রাখা যায়। এ সময়ের মধ্যে লাশ দাফনের বিষয়ে কোনো সুরাহা না হলে দাফনের বিধান রয়েছে। বেওয়ারিশ লাশের ক্ষেত্রেও একই আইন। রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানিয়েছে, যথাসময়ে পরিবারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গেলে যথাযথভাবে লাশ দাফন করা সম্ভব হবে।
রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের সূত্র জানায়, গত বছরও রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের অধীক্ষেত্রাধীন এলাকায় মারা যাওয়া ৯৯৮ জনের মধ্যে ১১৩ জনের মৃতদেহ ছাড়া সবাইকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাকি লাশগুলো পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। তাই সব পরিবারকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দাফনের অনুমতি দিতে অনুরোধ জানিয়েছে দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা। লাশ সৌদি আরবে স্থানীয়ভাবে দাফন হলেও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবে দেশে থাকা পরিবার।
সৌদি আরবে কোনো বাংলাদেশি মারা গেলে করণীয় জানতে এবং খবর জানাতে রিয়াদ দূতাবাসে যোগাযোগের ঠিকানা মোবাইল : +৯৬৬৫৭০২১২১৮০। জেদ্দা কনস্যুলেট মোবাইল :০ +৯৬৬৫৫৬২২১৮৫৮ +৯৬৬৫৩৩১৪৭৯১২।
উৎসঃ আমাদের সময়