সৌদি আরব এখন শুধু তেল রফতানিকারক কোনো দেশ নয়, এখন দেশটি বিভিন্ন প্রকারের জ্বালানিও উৎপাদন করছে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী যুবরাজ আব্দুল-আজিজ বিন সালমান। তেল রফতানিকারকদের সংগঠন ওপেক প্লাসের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। ওপেক প্লাসের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে জুলাই মাসে কী পরিমাণ তেল উৎপাদন করা হবে। বৃহস্পতিবার আল-আরাবিয়া নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
এস এন্ড পি গ্লোবালের সূত্র মতে যুবরাজ আব্দুল-আজিজ বিন সালমান বলেছেন, আমরা শুধু জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশ নই। আমরা বিভিন্ন প্রকারের জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত এক দেশ। আমরা কম খরচে জ্বালানি তেল ও গ্যাস উৎপাদন করছি। আমরা কম খরচে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদক দেশে পরিণত হয়েছি। এছাড়া আমরা খুব কম খরচে হাইড্রজেনও উৎপাদন করছি।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বকে জোর দিয়ে বলছি যে সৌদি আরব যে বিভিন্ন প্রকারের জ্বালানি উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করছে এ বাস্তবতাকে মেনে নিতে। আমরা জ্বালানি উৎপাদনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে যাচ্ছি।
শীর্ষ জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব এশিয়ায় তাদের তেলের মূল্য বাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে জুলাই মাসের জন্য তেলের যে মূল্য ধরা হয়েছে সেখানে দেখা গেছে, এশিয়ায় সৌদি আরবের অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জুলাই মাসে সরকারিভাবে সৌদি তেল বিক্রির মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি ব্যারেল ১.৯ মার্কিন ডলার। এ মূল্য ওমান ও দুবাইয়ের ধরা গড় মূল্যের চেয়ে বেশি। জুনে এ মূল্য আরো ২০ সেন্ট বৃদ্ধি করা হবে।
জুলাই মাসে সৌদি আরব উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের জন্য তাদের জ্বালানি তেলের মূল্য আইসিবি ব্রেন্ট নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১.৯০ মার্কিন ডলার কম মূলে বিক্রি করবে। জুন মাসের তুলনায় এ মূল্য ২.৯০ মার্কিন ডলার কম। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সৌদি সরকারি নথির বরাত দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
আরগাস সোর ক্রুড ইনডেক্সের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারিভাবে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের মূল্য ধরা হয়েছে ১.৫০ মার্কিন ডলার। জুন মাস থেকে জ্বালানি তেলের এ মূল্য অপরিবর্তিত আছে।
সূত্র : আল-আরাবিয়া নিউজ