‘নিওকোভ’ নামে করোনার নতুন একটি ধরন পাওয়া গেছে বলে চীনের উহানের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন। এই উহান থেকেই বছর দুয়েক আগে করোনাভাইরাস মহামারির সূত্রপাত হয়েছিল।
বাজারে যেসব করোনার টিকা আছে, তার কোনোটিই নিওকোভ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হবে না। এমন দাবি করে চীনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে।
ভারতীয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, ডেলটাক্রন, ওমিক্রন এখন অতীত হয়ে গেছে। পাওয়া গেছে মহামারির নতুন রূপ—নিওকোভ।
উহানের চিকিৎসা-বিজ্ঞানীদের দাবি, শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে সদ্য আবিষ্কার হওয়া এই মার্স-করোনাভাইরাস। কোভিড-১৯ রোগের এই রূপের প্রাণহানির ক্ষমতাও তুলনামূলক বেশি। সংক্রমিত হওয়া প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হতে পারে নিওকোভে।
উহানের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। সেখানে বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাজারে প্রচলিত কোনো করোনার টিকাই নিওকোভ-প্রতিরোধে কার্যকরী হবে না। যদিও এই ভাইরাস নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন তারা।
তবে ‘নিওকোভ’-এর মতো ধরনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ২০১৩ ও ২০১৫ সালে। কোভিড-১৯-এর সঙ্গে অনেক জায়গাতেই মিল এটির।
প্রথম এই ধরনের রূপের সন্ধান মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। মূলত বাদুড়ের শরীরে পাওয়া যায় নিওকোভ। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবারই ভিক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি একটি বিবৃতি দিয়েছে।
সেখানে বলা হচ্ছে, চীনা বিশেষজ্ঞরা যে নুতন রূপ নিয়ে সাবধান করছেন, তা নিয়ে এখনই দুর্ভাবনার কিছু নেই। মানবশরীর এই রূপটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ।
আপাতত ওমিক্রন নিয়ে সারা বিশ্ব আতস্কের মধ্যে রয়েছে। অতিসংক্রমণ ক্ষমতার জন্য এই রূপ নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। তবে আশার কথা, ওমিক্রনে প্রাণহানি অনেক কম।