
রিমন মেহেবুব রোহিত, কক্সবাজারঃ বিশ্ব পরিবেশ দিবস -২০২২ ও সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ এর ১৮ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ককসবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল মিশুকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্টিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এই দাবী জানান।
তারেক হোসেনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্টিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ ককসবাজার জেলা শাখার সহ সভাপতি স্থপতি মামুনুর রশিদ। অনুষ্টিত পরিবেশ দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদের চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন, এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম , অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ককসবাজার জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি মোসাদ্দিক হোসেন আবু, জেলা সহ সভাপতি মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মনছুর আলম, টেকনাফ উপজেলা সভাপতি জালাল উদ্দিন চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা সাধারন সম্পাদক রিমন মেহেবুব রোহিত, ইসমাইল হোসেন, আরিফুল ইসলাম সিফাত, তারেক হোসেন, মোহাম্মদ ইসমাইল, ইমাম আবু নূর মূসা প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের যে সব প্রতিষ্টান সিতাকুন্ডের ঘন বসতিপূর্ণ স্থানে উচ্ছ মাত্রার দাহ্য পদার্থ মজুদ করেছেন ও মজুদের অনুমতি দিয়েছেন ক্যামিকাল কন্টেইনার দূর্ঘটনায় বিষ্ফোরনের কারনে তারা সকলে গণহত্যার মত জগন্য এই ঘটনার জন্য দ্বায়ী। বন্দর থেকে কন্টেইনার ছাড় করার সময় দাহ্য পদার্থ ও তার সতর্কীকরণ স্টিকার না থাকা ও তার নাম এবং পরিমান সহ ডিটেলস অগ্নি নির্বাপক সংস্থাকে কর্তৃপক্ষ দিলে হয়ত এ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। সভায় সীতাকুণ্ডে ক্যামিকাল বিষ্ফোরনের ঘটনায় নিহতদের আত্নার মাগফেরাত কামনা ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সারাদেশে পরিবেশ রক্ষার চেয়ে শতগুন পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে যা নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ধরনের সক্ষমতা নেই ! প্লাষ্টিক নিষিদ্ধ করার দুই দশক পার হলেও দেশ থেকে পলিথিন নির্মূলের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে ব্যার্থ হয়েছে। পাহাড় কাটা, নদী দখল, জলাধার ভারাট, শিল্প দূষণ আজ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অন্যদিকে বালাইনাশক, জীবানু ও ছত্রাক নাশক নামে দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ রাসায়নিক সারের অবাধ ব্যবহার হবার কারনে মাটি পানি বায়ু ও ইকোসিষ্টেম যেমন ধ্বংস হচ্ছে, তেমনি সারাদেশে পাঁচ শত কোটির অধিক সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ মাটি পানি ও ইকোসিষ্টেম ধ্বংস করলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিরব। অন্যদিকে একুরিয়ামে শৌখিন মাছ পোষার নামে দেশে দেদারসে আমদানী হচ্ছে ভয়ঙ্কর সব রাক্ষুষে মাছে, যা ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে ধরা পড়ছে পিরানহা, সাকার, অস্কার, আফ্রিান মাগুর, টাইগারফিস, ফলে জলাভূমির বাস্তুতন্ত্র মারাত্মক ভাবে হুমকির সম্মুখীন তাই এখনই পরিবেশ অধিদপ্তরকে সমৃদ্ধ করে এসব সমস্যা মোকাবেলা করতে না পারলে এদেশের প্রকৃতি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।