বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে এক যাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজন কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং একজন কর্মীকে সিলেট স্টেশন থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিলেট-লন্ডন ফ্লাইট নম্বর বিজি-২০১ এর যাত্রী জামিলা চৌধুরী সিলেট থেকে লন্ডন যাত্রার আগে, তার ভ্রমণ শ্রেণি মোতাবেক প্রাপ্য ৪০ কেজির স্থলে তিনি ৮১ কেজি অর্থাৎ অতিরিক্ত ৪১ কেজি লাগেজ ফি পরিশোধ ছাড়া বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু যাত্রী এক্সেজ লাগেজের নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করায় এবং এক্সেজ লাগেজের বিষয়ে যাত্রীর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায়, অতিরিক্ত লাগেজ সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতার কারণে তিনি লন্ডন ফ্লাইট মিস করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিষয়টি সিলেট স্টেশন ম্যানেজারের নজরে এলে তিনি ওই যাত্রীকে তার অফিস কক্ষে বসিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহা করেন এবং যাত্রীর চাহিদা মোতাবেক পরবর্তী ফ্লাইটে টিকেট রিসিডিউল করে দেন।
ওই যাত্রীর বোর্ডিং কার্ড ইস্যুর ডেস্কের সম্মুখে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ঘটনাত্তোর সময়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। ওই ভিডিও ফুটেজের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য এবং পেশাদারিত্ব বিবেচনায় বিমানের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরদিন ওই যাত্রীর বাসভবনে গিয়ে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বিমান বাংলাদেশ জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে একজনকে অপেশাদারিত্বমূলক আচরণের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এছাড়াও অপর একজনকে সিলেট স্টেশন থেকে প্রত্যাহার করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও যাত্রীকে তার ইচ্ছানুযায়ী বিমানের পরবর্তী ফ্লাইটে লন্ডন পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।