নব-নির্বাচিত সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
বুধবার (১৪ সেপ্টম্বর) ভোররাতে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁওয়ের বাড়ি থেকে ঘরের গেট ভেঙে তাকে তুলে নেয় ২০/২৫ জনের কালো ও সাদা পোশাকধারী লোকজন।
তিনি এখন কোথায়, কার হেফাজতে আছেন, জানেন না স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরাও।
মকসুদ আহমদের গাড়ি চালক মোহাম্মদ পলাশ বলেন, ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে কালো ও সাদা পোশাকে ২০/২৫ জনের একটি দল বাসা ঘেরাও করে।
তারা সামনে বাসার ফটক খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে সামনের ফটক খুলতে না পেরে ঘরের পেছনের ফটক ভেঙে ফেলেন তারা।
পরে বাসায় প্রবেশ করে ভোর সোয়া ৪টার দিকে মকসুদ আহমদকে তুলে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, যুবদল নেতা মকসুদের বিরুদ্ধে এই থানায় কোনো মামলা নেই। হয়তো অন্য কোনো থানায় মামলা থাকতে পারে। তবে তারা তাকে তুলে আনেননি। এ বিষয়ে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।
গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে জেলা যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন কাউন্সিলরদের ভোটে সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মকসুদ আহমদ। নেতৃত্বে আসার ৪ দিন পরই তাকে রাতের আঁধারে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। তবে কে বা কারা মকসুদকে তুলে নিয়েছে, এ বিষয়ে এখনো কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
জেলা বিএনপির নিন্দা: কোনো ধরনের মামলা ছাড়াই ভোর রাতে আইনশৃংখলা বাহিনী পরিচয়ে সিলেট জেলা যুবদলের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ মকসুদকে তুলে নেওয়া হয়েছে দাবি সিলেট জেলা বিএনপির। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সরব থাকা সিলেট জেলা যুবদলের নব নির্বচিত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে ভোররাতে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া যুবদল নেতা মকসুদকে আদালতে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।