রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ জঘন্য অন্যায় করেছে। তার বিচার হবেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সাহেদের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার কারণে ইতালিতে আজকে করোনার জন্য বাংলাদেশিদের দোষারোপ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে সাহেদ জঘন্য অপরাধ করেছে। তার বিচার তো হবেই।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাহেদের সঙ্গে অনেকেরই যোগাযোগ ছিল। না হলে এত বড় চেইন সে কীভাবে মেইনটেইন করেছে। আমার সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। সেটা আমি ইতোমধ্যে বলেছি। আমিও তার হাসপাতালে ৫-৬ জন রোগী পাঠিয়েছিলাম। যেহেতু সে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিল। সরকার স্বীকৃত ছিল। তারপরও তাকে ছাড়া হয়নি। আমরা বলেছি অন্যায় করলে কাউকে ছাড়া হবে না। তাকে ধরা হয়েছে। আমরা এখন আমাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করবো। বিচার করবেন আদালত।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলছি যে তদন্ত সাপেক্ষে সাহেদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। সে কী করেছে, না করেছে সেগুলো তো আমরা জানি। তারপরও তো একটা অফিসিয়াল তদন্ত হয়। মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হবে আদালতে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে পাঁচটায় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল তারা। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পায়। একদিন পর গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। সাহেদের খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হলেও সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।