সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদ এরশাদ ও তার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে জাতীয় পার্টির নেতা টিটোকে গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন সাদ এরশাদ ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। জানা যায়, গ্রেফতারের পর টিটোর মুক্তির দাবিতে ‘পল্লী নিবাস’ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। এছাড়াও পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাদ এরশাদ এবং রংপুর সিটি মেয়র ও মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তফা।
বুধবার (৩ জুন) বেলা ১২টার দিকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মহানগর জাতীয় পার্টির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর জাপা সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক লোকমান হোসেন, জেলা জাপার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর যুব সংহতির সভাপতি জাকির, সম্পাদক শান্তি কাদেরীসহ জেলা মহানগর জাপার নেতাকর্মীরা।
এ সময় সিটি মেয়র মোস্তফা অভিযোগ করে জানান, সাদ এরশাদ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন না। কাউকে পল্লী নিবাসের বাসায় যেতে দেন না। কিছু সুবিধাবাদী বহিরাগত ব্যক্তিকে নিয়ে একটি বলয় তৈরি করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাপা ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান টিটো একটি ডিও লেটারে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য সাদ এরশাদের বাড়িতে গেলে সেই ডিও লেটার ছিঁড়ে ফেলা হয়। শুধু তা-ই নয়, পুলিশ ডেকে তাকে তুলে দেওয়া হয়। টিপু সুলতান জাপার নিবেদিতপ্রাণ নেতা, তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে চরম অবিচার করা হয়েছে, আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
পরে লকডাউন উপেক্ষা করে জাপার নেতাকর্মীরা সাদ এরশাদের বিরুদ্ধে নগরীতে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে দুপুর দেড়টায় নগরীর দর্শনা এলাকায় ‘পল্লী নিবাস’ বাসভবনে স্ত্রীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সাদ এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা এরশাদ মারা যাওয়ার পর এখানকার কিছু নেতা চায় না এরশাদের পরিবারের লোকজন এখানে রাজনীতি করুক। এখানে কিছু নেতা আছেন, তারা তাদের কথামতো আমাকে চলতে বলেন। মঙ্গলবার ডিও লেটারে স্বাক্ষর করিনি বলে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।’ এ সময় সাদ এরশাদের স্ত্রী বলেন, ‘আমাকে লাঞ্ছিত করা হলো, অশালীন ভাষায় গালি দেওয়া হলো, এর কী বিচার নেই।’
এদিকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের হাতে আটক মহানগর জাতীয় পার্টির ২৭ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান টিটো প্রসঙ্গে তাজহাট থানার ওসি রোকনুজ্জামান জানান, সাদ এরশাদের পক্ষে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও সেখানে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে আটক জাপা নেতা টিটোর পক্ষে মহানগর জাপার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এটিও সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।