আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: ঘূণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত করতে না পারায় সাতক্ষীরা উপকূলের অনেক এলাকার লোকালয়ে এখনও চলছে জোয়ার-ভাটা। ফলে নদীর সাথে তাল মিলিয়ে রীতিমত জোয়ার ভাটার মধ্যে বসবাস করছে উপকূলীয় দুর্গত জনপদের হাজারও পরিবার। আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান সংকুলন না হওয়ায় দূর্গত এলাকার অনেক মানুষ বাধ্য হয়ে উঁচু বাঁধের উপর মানবেতার জীবন যাপন করছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এলাকাবাসী ভাঙন পয়েন্টে স্বেচ্ছাশ্রমে বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে দ্রুত স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে নদীগর্ভে বিলীন হবে উপকূলের অনেক গ্রাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, পদ্মপুকুর, কাশিমাড়ি ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা এবং অনুলিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ বেড়িবাঁধগুলো ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও গত অনেক দিন অতিবাহিত হলেও অনেকে এলাকায় ভাঙন পয়েন্টে এখনও বাঁধ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার কিছু কিছু এলাকায় এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণ করলেও নদীর প্রবল জোয়ারের চাপে তা আবার ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কাশিমাড়ি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা, পদ্মপুকুরের বন্যতলা ও আশাশুনির প্রতাপনগর এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের একটি অংশের লোকালয়ে এখনও পর্যন্ত নিয়মিত জোয়ার ভাটা হচ্ছে। এসব এলাকার মধ্যে প্রতাপনগর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জোয়ার ভাটা হওয়ায় এখানকার প্রায় সব চিংড়ি মাছের ঘের ও ইরিনা ব্রিকস নামের একটি ইটেরভাটা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগস্ত হয়েছে।