আবদুল্লাহ আল মামন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ আশাশুনির কুল্যার মোড় থেকে বাঁকা পর্যন্ত সড়কটি চলাচলে যেন মরণফাদ। খানাখন্দে পরিণত হয়েছে সড়কটি ,ইটের খোয়া ও পিচ উঠে গিয়ে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত।
এ সড়ক দিয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, খাজরা, আনুলিয়া, বড়দল, কাদাকাটি, কুল্যা, দরগাপুর ইউনিয়নের কয়েক লক্ষ মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করে। এছাড়া খুলনার পাইকগাছা, কয়রা ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানুষও যাতায়াত করেন। এ সড়কে চলে সাইকেল, মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, ইঞ্জিনভ্যান, ভ্যান, গ্রামবাংলা, মাহিন্দ্রা, পিকআপ, ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন। সাতক্ষীরা থেকে বাকা পর্যন্ত চলতো যাত্রীবাহী বাস। কিন্তু সড়কটির বেহাল দশার কারণে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় এক সপ্তাহ আগে। এখন দুর্ভোগের আর অন্ত নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস চালক জানান, সড়কটির কোথাও আস্ত নেই। ইটের খোয়া ও পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই গর্তে জমে পানি। তখন গর্তটি কতটুকু গভীর তা আন্দাজ করা যায়না। আন্দাজে বাস চালাতে গিয়ে কখনো কখনো বাস উল্টে যায়। ঘটে দুর্ঘটনা। এভাবে তো আর জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে চলা যায় না। তাই আমরা এই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। সড়কটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সড়কে গিলে খাচ্ছে সরকারের উন্নয়ন।
এদিকে সড়কটি সংস্কারের দাবিতে আজ কুল্যার মোড়ে সচেতন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, দৈনিক সাতনদী সম্পাদক ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে কুল্যা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, মিকাইল হোসেন, আইয়ুব আলী প্রমুখ।
এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তার বেশ কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেহেতু ব্যস্ততম জনবহুল সড়ক সে কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: আক্তার হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে কুল্যার মোড় থেকে গুনাকরকাটি বাজার পর্যন্ত রাস্তার টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসে কাজ শুরু হবে। আর বাকি জায়গাগুলো মোবাইল মেইনটেনেন্সের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। অতি দ্রুতই মোবাইল মেনটেনেন্সের কাজ শুরু হবে।