সাইক্লোন আম্ফানের জের এবার পড়লো সবজি বাজারে। রাজ্যে উৎপন্ন হয় এমন সবজির দাম দ্বিগুন। কোথাও আবার দ্বিগুনের বেশি দাম বাড়লো। গ্রামবাংলা থেকে আসা সবজির সরবরাহ কমাতেই এই বিপর্যয়। পূর্বভারতের সব থেকে বড় সবজির পাইকারি বাজার কোলে মার্কেটে আম্ফানের আগে প্রতিদিন সাড়ে তিনশো ট্রাক সবজি আসতো। বুধবার এসেছে মাত্র সত্তরটি ট্রাক। গোটা বাংলায় সবজির দুটি বড় মার্কেট উত্তর চব্বিশ পরগনার হরিণঘাটা এবং দক্ষিন চব্বিশ পরগনার নেপালগঞ্জ মার্কেট মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে, সবজির যোগান নেই।
দাম বাড়ছে হু হু করে। কোলে মার্কেটের সবজির পাইকারদের মতে, এই অবস্থা চলবে মাসখানেক। আম্ফানের জেরে বিঘের পর বিঘে ফলন নষ্ট হয়েছে। এই ফলন ঠিক হতে মাসখানেক লেগে যাবে বলে তাদের অনুমান। কি ভাবে দাম বেড়েছে তা দেখলে শিউরে উঠতে হবে।
আম্ফানের আগে যে বাজারদর ছিল তা লাফিয়ে বেড়েছে। রাঁচি, কোয়েমবাতুর , নাসিক থেকে সবজি আমদানি করলেও ব্যায় বাড়ছে। ফলে, ঘরের সবজির ওপরেই ভরসা। দামের অবস্থাটা দেখলেই বোঝা যাবে দাবানল লেগেছে। কেজি প্রতি দামের হারটা দেখে নেওয়া যাক। শশা ত্রিশ টাকা ছিল, হয়েছে একশো টাকা, কাঁচালঙ্কা আশি টাকা থেকে দেড়শো টাকা, বেগুন ত্রিশ টাকা থেকে ষাট টাকা, পটল ত্রিশ টাকা থেকে ষাট টাকা, ক্যাপসিকাম ষাট টাকা থেকে দুশো টাকা, ভেন্ডি ত্রিশ টাকা থেকে ষাট টাকা, টমেটো কুড়ি টাকা থেকে ষাট টাকা, বিট ত্রিশ টাকা থেকে ষাট টাকা, আপেল একশো তিরিশ টাকা থেকে দেড়শো টাকা, লিচু ষাট টাকা থেকে একশো কুড়ি টাকা, আঙ্গুর একশো টাকা থেকে একশো কুড়ি টাকা। এই হিসেব থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে আম্ফান স্থানীয় সবজির কি নিদারুন ক্ষতি করেছে। করোনা যা পারেনি আম্ফান তাই করে দেখালো।