স্টাফ রিপোর্টার: বেনাপোল পোর্ট থানাধীন নামাজ গ্রাম পশ্চিমপাড়ায় সাংবাদিক পরিবারের পৈত্রিক জমি দখল করে রাস্তা তৈরী ও সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল এর কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের কে হুমকি,ভয়-ভীতি ও গুম করার অভিযোগ একই গ্রামের রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া প্রভাবশালী রমজান হাজ্বীর ছেলে কামরুজ্জামান বাবলুর (৩০) বিরুদ্ধে। অর্থের প্রভাব খাটিয়ে জোড় দখল করে জমিতে বালু ফেলে রাস্তা বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে এই বাবলু ও তার বাহিনী। বেনাপোল পৌরসভা থেকেই রাস্তাটির বাজেট হয়েছে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাবলু বাহিনী বোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জোর করে রেকর্ডকৃত মালিকানাধীন সাংবাদিক পরিবারের জমির মাঝখান দিয়ে রাস্তা করার জন্য বালু ফেলে রেখেছে। জমির মালিকেরা বাধা দিলে তারা বলে এখান থেকে চলে না গেলে সবাইকে মেরে পার্শ্ববর্তী হাকড়ে পুতে রাখবো। প্রাণভয়ে তুমি প্রকৃত মালিক সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা চলে যেতে বাধ্য হয়। কামরুজ্জামান বাবলু এটাও বলে তোদের জমির মাঝখান দিয়ে আমি রাস্তা করবো করোর কিছু করার থাকলে করেনে। বেনাপোল পৌরসভা আমার কথায় চলে। আমি পৌরসভাকে যা যা বলবো সেটাই করবে, সাংবাদিক জাকির বলেন বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে বাবলু। রাস্তা করতে যে জমি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে ওই জমিতে কোন রকম কাজ করতে নিষেধ করেছে পৌরসভা। পৌরসভা নিষেধ করার পরও জমিতে বালু রাখা হয়েছে। এদিকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় করোনা টিকা দিতে বেনাপোল হাইস্কুলে যাওয়ার পথে বাবলু ও আদম আলী জমির মালিকের স্ত্রী নাছিমা খাতুন (৪৫) কে মারতে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করে। তোদের মরণের সময় হয়েগেছে। বাড়ি থেকে বের হলেই মারা পড়ে যাবি তোরা।
জমির মালিক সাংবাদিক জাকির হোসেন ও তার ভাই ইউনুছ আলী বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মো. কামরুজ্জামান বাবলু আমাদের রেকর্ডকৃত জমিতে জোড় করে রাস্তা করার জন্য বালু ফেলেছে। আমরা নিষেধ করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বাবলু ও তার বাহিনী। তাদের বাহিনীর হাতে অস্ত্র দেখে প্রাণভয়ে আমরা ফিরে আসি। তারা আরো বলেন, আমরা ঐ একই জমির উপর দিয়ে ইতিপূর্বে ব্যক্তিগত ভাবে রাস্তা দিয়েছি। তারপরেও বাবলু রাস্তা দিতে আমাদেরকে বললে তখন আমরা তাকে বলি দু’পাশের অন্যান্য জমির মালিকের কাছ থেকে সমান ভাবে রাস্তা নেও। এতে বাবলু ও তার বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন তোদের জমি’র মাঝখান থেকে সম্পন্ন রাস্তা নেবো। তোদের মত চুনোপুটি সাংবাদিক আমি পকেটে ভরে রাখি। তোদের কিছু করার থাকলে করেনে। এদিকে জমিতে বালু ফেলার নির্দেশ দিয়েছে বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহাবুদ্দিন মন্টু।
জমির মালিক সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক জাকির হোসেনকে হুমকি-ধামকি’র বিষয়ে কামরুজ্জামান বাবলু জানান, এমন অনেক কথা আঁকাশে ওড়ে। আর যে যেরকম মানুষ তার উপরে তেমন করে হয়তো বা। যাদের চিন্তা তারা করে। আমার এমন নেগেটিভ চিন্তা আজ পর্যন্ত কারোর উপরে নেই। ব্যক্তিগত আপনার উপরেও নেই।
এবিষয়ে বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও নামাজ গ্রামের কমিশনার শাহাবুদ্দিন মন্টু বলেন, আমি বলেছি জাকিরের জমি বাদ রেখে গোলামের বাড়ির সামনে থেকে রিপনের বাড়ি পর্যন্ত কাজ করো। রাস্তাটি ব্যক্তিগত ভাবে নাকি বেনাপোল পৌরসভা করছে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধুস তোমার সাথে কথা বলা যায় না, বলেই ফোনটা কেটে দেয়।
এদিকে জমিতে বালু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখার বিষয়ে বেনাপোল পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ জানান, নামাজ গ্রামের ওই রাস্তাটির দুই সাইটের জমি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। যে কারনে রাস্তার দুই সাইটের কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছি। ঝামেলার রাস্তায় যদি কেউ বালু বিছিয়ে রাখে তা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি দেখবো এবং কেন বালু ফেলেছে তা জানতে পারবো। বেনাপোল পৌরসভার কোন শ্রমিক যদি বালু ফেলে রাখে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব। ঝামেলা যুক্ত ও রেকর্ডকৃত জমিতে কাজ করতে আমাদের শ্রমিকদেরকে নিষেধ করা আছে।
বেনাপোল পোর্ট থানায় এবিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।