সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত বাংলাদেশ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। রোববার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমানতালে চলতে পারে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার আদর্শে গড়ে তোলা এ অগ্রযাত্রা যেন কোনোভাবেই ব্যহত না হয়।
এর আগে সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর (শহীদ) সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক প্রধান উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও মন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, প্রতিমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, বিদেশি রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিবসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন। এদিন, ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করেন। সেই থেকে দিবসটি সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।