সরকারি-বেসরকারি অফিসে ধূমপান নিষিদ্ধ থাকলেও কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই সৈয়দ নাজমুল হুদা থানা কার্যালয়ে আয়েশি ধূমপানে মগ্ন থাকেন। মূলত অফিসের বড় কর্মকর্তা হিসেবে বীরদর্পে সরকারি অফিসে পুলিশের পোশাকে বসেই ধূমপান করেন তিনি। তাছাড়া মাদক সেবন ও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে অসদাচরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর রিজিওয়নের অধিনস্থ কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই সৈয়দ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। মহাসড়কে পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি, মাদক পাচারকারীদের সাথে সখ্যতা এমনকি জব্দকৃত মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে গুণধর এই টিআইর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ জানা গেছে, টিআই সৈয়দ নামজুল হুদা থানা কার্যালয়ে তার অফিসে বসে সারক্ষণ ধূমপানে মগ্ন থাকেন। মাদক সেবন করে মাতাল অবস্থায় মহাসড়কে দায়িত্ব পালন কালে পরিবন শ্রমিকদের সাথে অশুভন আচরণ করে চাঁদা আদায় করেন তিনি। তাছাড়া প্রয়োজনে পরিবহন মালিকরা তার কাছে অফিসে গেলে অশ্লিলভাষায় গালাগালিসহ অসদাচরণ করেন বলে বহু অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর এলাকা থেকে মাদক বহনকারী একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৩৪৪৬) আটক করেন টিআই সৈয়দ নামজুল হুদা। গুঞ্জন উঠেছিল ট্রাকটিতে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও সাতশ বোতল ফেনসিডিল থাকলেও ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫২৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ দেখিয়ে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন তিনি। তবে কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। জব্দের সাথে মামলায় উল্লেখ মাদক দ্রব্যের পরিমান গড়মিল থাকানিয়ে হাইওয়ে পুলিশে তোলপার শুরু হয়। মামলা যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা কিছুই জানেন না বলে এপ্রতিবেদককে জানান স্বাক্ষীরা।
অফিসে বসে ধূমপান করার বিষয়ে জানতে চাইলে টিআই সৈয়দ নাজমুল হুদা বলেন আমার ভুল হয়েছে। আর জীবনেও অফিসে বসে ধূমপান করবনা। তবে চাঁদাবাজি আর পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।