ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে এক প্রবাসী স্ত্রীর সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে এ বিষয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের চর ভাষানচর গ্রামের এক প্রবাসী তার স্ত্রীকে রেখে দীর্ঘ দিন যাবত বিদেশে অবস্থান করছে। ঐ প্রবাসী দম্পত্তি বর্তমানে ২ সন্ত্রানের জননী, যার ১ সন্তান ঢাকায় থাকে এবং অন্য সন্তান স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশুনা করছে। তবে স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী ভাষানচর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এর সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পরে বলে এলাকার সচেতন মহল অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাওছার ঐ প্রবাসীর বাড়িতে দীর্ঘ দিন যাবত সময়-অসময়ে যাতায়াত করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ থেকে ২৫ দিন আগে ঐ চেয়ারম্যান প্রবাসী স্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে তার ঘর আটকিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় ঐ ঘর বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষের সন্দেহ সৃষ্টি হলে তারা ঘটনাটি বুঝার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা চেয়ারম্যান কাওছার ও ঐ প্রবাসীর স্ত্রী কে এক ঘরে রুম আটকানো অবস্থায় সনাক্ত করে এলাকার লোকজন তাদের তালাবদ্ধ করে রাখে। এদিকে এ ঘটনার পরেই এলাকার বেশ কিছু লোকজন জড়ো হতে থাকলে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে দীর্ঘ সময় পর এলাকাবাসী ঐ তালাবদ্ধ রুম থেকে চেয়ারম্যান কাওছার ও ঐ প্রবাসীর স্ত্রীকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক কাওছারকে অন্যত্র সড়িয়ে নেয়।
পরবর্তিতে ঐ চেয়ারম্যান ঘটনার সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালী মহলের কয়েকজনকে কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে তারা অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা চড়াও হতে থাকে চেয়ারম্যান ও প্রবাসী স্ত্রীর উপর। যা নিয়ে এলাকায় একটি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন ব্যাক্তি অভিযোগ করে জানান, উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কাওছারের স্ত্রী সন্তান থাকা সত্তে¡ও সে বিভিন্ন অসহায় মহিলাদের উদ্দেশ্য করে অপকর্ম করার চেষ্টা করে থাকে। বর্তমানে ঐ প্রবাসী স্ত্রীর দিকে তার কুদৃষ্টি পরেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন আগে একই রুমে তাদেও দুজনকে আটকিয়ে রেখেছে এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা। তবে এমন একজন চরিত্রহীন চেয়ারম্যান এর কারনে এলাকার ব্যাপক দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করছে তারা। একই সাথে তারা অবিলম্বে এ চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছে তারা। এ ব্যপারে অভিযুক্ত ঐ প্রবাসী স্ত্রীকে ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন করলে এমন কোন ঘটনাই ঘটে নাই বলে সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে উক্ত চেয়ারম্যান এর সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দাবি করে জানান, আমি সবে মাত্র ভাষানচর ইউনিয়ন পরিষদ এর দায়িত্ব গ্রহন করেছি।
এই দায়িত্ব গ্রহনের পরেই আমার প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। গত ২০ থেকে ২৫ দিন আগে তাদের দুজনকে একই রুমে তালাবদ্ধ করে রাখার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাকে কেউ তালাবদ্ধ করে নাই মর্মে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে ঘটনাটি উক্ত এলাকায় দারুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং চেয়ারম্যান এর নানা বিধও কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত উক্ত ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় টক অবদা ভিলেজ এ পরিনত হয়েছে।