বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে একটি ট্রাস্ট গঠনে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০২১’ বিল সংসদে পাস হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শনিবার (৩ জুলাই) সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেওয়া জনমত যাচাই বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। বিল পাসের সময় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক সদস্যের কিছু সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করেন তিনি।
গত ৪ এপ্রিল বিলটি সংসদে তোলেন হাছান মাহমুদ। পরে বিলটি ৪৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি আনার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণ সাধন; পেশাগত কাজ করতে অক্ষম, অসমর্থ ও অস্বচ্ছল, অসুস্থ শিল্পীদের চিকিৎসা; মৃত্যু ঘটলে তার পরিবারকে প্রয়োজনে দাফন-কাফন বা শেষকৃত্যানুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা দিতে এবং তাদের কল্যাণে একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রয়োজন।’
কোনও চলচ্চিত্র শিল্পী মারা গেলে তার পরিবারের সদস্যরাও যাতে সহায়তা পায় বিলে সে ব্যবস্থার কথাও বলা আছে।
বিলে চলচ্চিত্র শিল্পীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, অভিনয় শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
বিলে বলা হয়েছে, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর সচিব হবেন। ১৩ সদস্যের বোর্ডের কথা বিলে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সরকার নিয়াগ করবে।
ট্রাস্টে তহবিল আসবে সরকারি অনুদান, দেশি-বিদেশি ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুদান, লভ্যাংশ, ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ থেকে আয় হতে।