প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শরীরে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির ক্ষেত্রে যোগব্যায়ামের উপকারিতার কথা উল্লেখ করেছেন।
আগামীকাল সোমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এর আগের দিন আজ রোববার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন গত ২৫ মে লেখা এই চিঠিটি প্রকাশ করে।
চিঠিতে মোদি বলেন, এই বিরাট চ্যালেঞ্জের মাঝামাঝি সময়ে এসে কোভিড-১৯ যোদ্ধারা মহামারির বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই বজায় রেখেছেন। যদিও মহামারির হুমকি এখনো থেকে গেছে, তারপরেও শেষ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস থেকে একটা ইতিবাচক অগ্রগতি আছে।
চিঠিতে এই ভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি ও বৈজ্ঞানিক বোঝাপড়ার কথা জানিয়ে মোদি আরও বলেন, মহামারি থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য অনেক ভ্যাকসিন আছে। আর মানবতা যে খুব দ্রুত এই মহামারিকে জয় করে নেবে, সে ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী।
চলতি বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘সুস্থতার জন্য যোগব্যায়াম’। বিদ্যমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যা খুবই প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেন মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেন, শরীর ও মনের জন্য যোগব্যায়ামের অনেক উপকারিতা আছে। সবধরনের সতর্কতা ও উদ্যোগ সত্ত্বেও যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তারপরেও শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা করতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে শক্তিশালী ফুসফুস তৈরির ভেতর দিয়ে যোগব্যায়াম তাৎক্ষণিকভাবে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে।
মোদি বলেন, সারা পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ এখন মাসের পর মাস ঘরবন্দী হয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেও প্রভাব ফেলছে। নিয়মিত যোগব্যায়াম তাদের এই সমস্যা থেকেও মুক্ত করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেও যোগব্যায়ামের চর্চা করেন। সংযুক্তির ক্ষেত্রে যোগব্যায়ামের সহজাত ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে মোদি বলেন, এটা (যোগব্যায়াম) সমাজ, প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ঐক্যের জন্যও ভালো। চলতি বছরের যোগ দিবসের প্রতিপাদ্য বিশ্বজুড়ে মানুষের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
চিঠিতে প্রতি বছর সাফল্যের সঙ্গে দিবসটি পালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহযোগিতা ও উদ্যোগের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোদি।
তিনি বলেন, এটা দেখতে পাওয়ার বিষয়টি খুবই আনন্দের যে, গত কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যোগব্যায়ামে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি ভাই ও বোনদের সংখ্যা বিপুলভাবে বেড়েছে।
বাংলাদেশে সামনের বছরগুলোতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দিবসটি পালনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য আপনি, আপনার পরিবার ও জনগণের প্রতি আমার শুভ কামনা রইল।