শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ঘাইলারা গ্রামে গৃহকর্তা হারুনুর রশিদ কর্তৃক কন্যাশিশু (১০) গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) সাবেক ইউপি মেম্বারসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ও বুধবার বিভিন্ন স্থানে টানা দুইদিন অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী, ভিকটিম ও পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার গাছগড়া গ্রামের ওই কন্যাশিশুকে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে একই উপজেলার ঘাইলারা গ্রামের হারুনুর রশিদের (৩৫) বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠানো হয়। প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর রাতের বেলায় গৃহকর্তা হারুন পাশের কক্ষে প্রবেশ করে শিশু গৃহকর্মীটিকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে স্থানীয় দালালদের মধ্যস্থতায় মোটা টাকায় আপোষ করে গৃহকর্মীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় প্রায় একমাস আগে। পরবর্তী সময়ে ওই কন্যাশিশু একাধিক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া ঘটনাটি লোকমুখে প্রচার হয়ে পড়লে গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চালায়। আজ বুধবার সকালে শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার রণকুঠুরা গ্রামে তার ফুফাতো ভাইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার এবং আশ্রয়দাতা জাহিদুল ও অভিযুক্তের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত ধর্ষক হারুনকে গ্রেফতারের পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমদ বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য শেরপুর পাঠানো হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত হারুণকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।’